মঙ্গলবার সিঙ্গুরের মাটি থেকে রাজ্যের ৩৩৪২টি গ্রাম পঞ্চায়েতে পথশ্রী প্রকল্পের ১২ হাজার কিলোমিটার রাস্তার শিলান্যাস করবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইমতো সিঙ্গুরের রতনপুরে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। কিন্তু এই পথশ্রী প্রকল্প নিয়ে রাস্তা তৈরির কন্ট্রাক্টারদের সতর্ক করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তাঁর দাবি, রাজ্যের তৃণমূল সরকারের ভাঁড়ে মা ভবানীর অবস্থা। ফলে কাজ করলেও পথশ্রী প্রকল্পের টাকা কিন্তু কন্ট্রাক্টাররা পাবেন না।
মঙ্গলবার সিঙ্গুরে পথশ্রী প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূল সরকার গ্রামের মানুষের জন্য এই পথশ্রী প্রকল্প এনেছে। ৩৪ বছরের বাম শাসনের ইতি টানতে যে সিঙ্গুর অনুঘটকের মতো কাজ করেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য সেই সিঙ্গুরকেই আবার টার্গেট করেছেন তৃণমূল নেত্রী।
কিন্তু এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতির দাবি, সিঙ্গুরে দাঁড়িয়ে যে যে কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী সবটাই মিথ্যা ও ভাঁওতা। তাই এবারের এই পথশ্রী প্রকল্পও ব্যর্থ হবে। একই সঙ্গে তিনি কন্ট্রাক্টরদেরও এই প্রকল্পে যুক্ত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
সুকান্ত মজুমদার বলেন, “পথশ্রী প্রকল্পে যে কন্ট্রাক্টররা রাস্তা তৈরির কাজে নামবেন তারা কেউ পয়সা পাবেন না। রাজ্য সরকারের ভাঁড়ার খালি, সরকার নিঃস্ব, ভাঁড়ে মা ভবানীর অবস্থা।” তিনি আরো বলেন, সিঙ্গুর গিয়ে সরষের বীজ ছড়িয়ে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, কিন্তু সেখানে এখনো চাষ হয়নি। সিঙ্গুর থেকে তিনি যা যা করেছেন প্রত্যেকটা মিথ্যে প্রমাণিত হয়েছে। সেইমতো পথশ্রীও ফ্লপ হবে। সতর্কতার সুরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “যারা টেন্ডারে অংশগ্রহণ করবেন তারা পয়সা পাবে না। অলরেডি ১০০ দিনের কাজে যারা রাস্তা, ব্রিজ তৈরি করেছেন তারা এখনো পয়সা পাননি তাদের অবস্থা খারাপ।”
প্রসঙ্গত, সিঙ্গুর আন্দোলনের পর এক যুগেরও বেশি সময় পেরিয়েছে। সেই সময় আন্দোলনরত কৃষক হোক বা শিল্পের পক্ষে জমি দিতে ইচ্ছুক পরিবার হোক, উভয় পক্ষের মনে একটি চাপা অসন্তোষ রয়েছে এখন। কারণ এখনো তারা চাষযোগ্য জমি ফেরত পাননি। আবার জমি পেলেও চাষ করতে তারা পারছে না। ফলে তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। সেখানকার অনেক মানুষেরই দাবি, হয় শিল্প হোক না হলে চাষযোগ্য করে পুরো জমি ফেরত দেওয়া হোক।