বছর দু’য়েক আগে এক মুসলিম তরুণীকে বিয়ে করেছিলেন রাজস্থানের এক হিন্দু যুবক। আর সেই কারণেই ওই হিন্দু যুবককে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল তার স্ত্রীর পরিবারের বিরুদ্ধে। বুধবার পুলিশ জানিয়েছে, মৃত যুবকের নাম রাজেন্দ্র সাইনি। বছর ৩৬ এর ওই যুবকের বাড়ি ছিল জয়পুরে। সে টাইলস লাগানোর কাজ করতো। পুলিশ ওই যুবকের মুসলিম শ্বশুর শাশুড়ি ও শ্যালকের বিরুদ্ধে খুনের মামলা শুরু করেছে।
তদন্তকারী আধিকারিক হরিকৃষ্ণন জানিয়েছেন, ২০২১ সালের এপ্রিল মাসের রাজেন্দ্র সোনি কাজের সূত্রেই খান্ডোয়াতে আসে। সেখানেই তাঁর সঙ্গে বছর কুড়ির আমরিন খানের সঙ্গে পরিচয় হয়। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। জয়পুর আদালতের মাধ্যমে তারা বিয়ে করে। প্রাপ্তবয়স্ক আমরিন নিজের মর্জিতেই এই বিয়ে করেছিলেন। চার মাস আগে আমরিনকে নানা অছিলায় তার বাপের বাড়ির লোক খাণ্ডোয়াতে ডেকে পাঠায়। আমরিন সেখানে এসেছিলেন কিন্তু আর ফিরে যায়নি।
দীর্ঘদিন স্ত্রী বাড়ি না ফেরায় রাজেন্দ্র তাঁকে নিতে আসেন। আর তখনই তাকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পর পর তিন দিন তাকে মারধর করলে তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান। মারধরের ফলে শরীরের ভিতরে তার গুরুতর আঘাত লাগে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনায় তিনজন মূল অভিযুক্ত রাজেন্দ্রর শ্বশুর মুমতাজ খান, শাশুড়ি মুন্নি বাই, শ্যালক সালমান খানকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
রাজেন্দ্রর ভাই কিশোর সাইনি জানিয়েছেন, তাঁর ভাইকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। পুলিশের কাছে সুরক্ষার জন্য বারবার বলা হয়েছিল কিন্তু সেভাবে পুলিশ পদক্ষেপ করেনি। একজন মুসলিম তরুণীকে ভাই বিয়ে করেছিল, সেই জন্যই তাঁকে খুন করা হলো বলে তার অভিযোগ। তাই ওই মুসলিম তরুণীর পরিবারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি।