আগামী রবিবার পর্যন্ত দিল্লির সব সরকারি অফিসে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ চালু থাকবে। মাত্রাতিরিক্ত দূষণের জেরে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে স্কুল-সহ যাবতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সেইসঙ্গে দিল্লিতে গাড়ি প্রবেশের ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ চালু হচ্ছে। এমনটাই জানালেন দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই।
বায়ুর মান নিয়ন্ত্রণ কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকে পর তিনি জানান, ২১ নভেম্বর পর্যন্ত সরকারি অফিসে ১০০ শতাংশ ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’-এর নিয়ম কার্যকর হবে। সেদিন পর্যন্ত যাবতীয় নির্মাণকাজ বন্ধ থাকবে। দিল্লিতে গাড়ি চলাচলের ক্ষেত্রেও একাধিক বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। দূষণ রুখতে কী কী নিয়ম কার্যকর থাকবে, তা দেখে নিন একনজরে –
১) জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত গাড়ি ছাড়া কোনও গাড়ি দিল্লিতে প্রবেশ করতে পারবে না। অন্যান্য গাড়ি যাতে দিল্লিতে ঢুকতে না পারে, তা নিশ্চিত করার জন্য দিল্লি পুলিশ এবং পরিবহণ দফতরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
২) রাই জানিয়েছেন, ১০ বছরের পুরনো ডিজেলচালিত গাড়ি এবং ১৫ বছরের পেট্রলচালিত গাড়ির তালিকা পুলিশকে দিয়েছে পরিবহণ দফতর। তা নিয়ে পদক্ষেপ করবে পুলিশ। সেইসব গাড়ি আটকানো হবে। বিভিন্ন পাম্পে যে দূষণের মাত্রা পরীক্ষার ব্যবস্থা আরও জোরদার করবে দিল্লি সরকার।
৩) রাই জানিয়েছেন, যাতে বেশি যানজট না হয়, সেজন্য ট্র্যাফিক পুলিশের একটি বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন করা হচ্ছে।
৪) আগামিকাল (বৃহস্পতিবার) থেকে দিল্লিতে আরও ১,০০০ টি সিএনজি বাস নামানো হবে।
৫) মেট্রোয় যে দাঁড়িয়ে যাওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়নি, তা পর্যালোচনা করার আর্জি জানানো হয়েছে। আপাতত করোনাভাইরাসের জন্য মেট্রোয় দাঁড়িয়ে যাওয়া যায় না।
তারইমধ্যে দিল্লির দূষণ পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার সরকারের উপর বিরক্ত প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি এন ভি রামান্না দিল্লিতে বাজি পোড়ানো নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, ‘কিছু দায়িত্ব নিজেদেরকেও নিতে হবে এবং বিচার ব্যবস্থার আদেশে সবকিছু করা যায় না।’