বাড়িতে আসবে পাত্র পক্ষ, আর তার পরে হয়তো রাত পোহালেই বিয়ে। কিন্তু তা হবে নাবালিকার অমতে। বিয়ে করো না হলে বাড়ি থেকে পালাও এমনই চাপ বাবা মায়ের। কোন উপায় না পেয়ে ভর সন্ধে বেলায় ছুট বিডিওর কাছে। বাড়ি থেকে ১০ কিমি দূরে বিডিও অফিসে বাসে চেপেই পাড়ি দিল নাবালিকা। নিজের বিয়ে নিজেই আটকাল সে।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনার দুই নম্বর ব্লকের মহেশপুর গ্রামের বাসিন্দা বিলকিস খাতুন। বিলকিসের অভিযোগ তার বাবা মইদুল ইসলাম খান ও তার মা তার পাত্র ঠিক করে ফেলেছে বিয়ে দিয়ে দেবার জন্য। কয়েকদিন আগেই পাত্রপক্ষ এসে তাকে দেখে গিয়েছে। কিন্তু ১৬ বছরের বিলকিস ক্লাস ইলেভেনের ছাত্রী। লেখাপড়ায় মেধাবী, তার ইচ্ছে সে বিয়ে করবে না। এখন সে পড়তে চায়।
তাই বাবা মায়ের কথা। মেনে না নেওয়ায় তার উপর চাপ সৃষ্টি করতে থাকে পরিবার। বাবা মায়ের দাবী হয় বিয়ে কর নাহলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যা। ফলত কোনও উপায় না দেখে, শনিবার সন্ধ্যায়, চন্দ্রকোনা দুই নম্বর ব্লকের বিডিও অমিত ঘোষের কাছে এসে উপস্থিত হয় ওই নাবালিকা। সমস্ত বিষয়টি সে বলে বিডিওকে। এমনকি বিয়ে বন্ধের জন্য বিডিওকে লিখিত আবেদন জানায় সে।
দ্রুত চন্দ্রকোনা ২ নম্বর ব্লকের বিডিও অমিত ঘোষ ও চন্দ্রকোনা থানার পুলিসের সহযোগিতায়, রাতেই তার বাবা মাকে নিয়ে আসা হয় চন্দ্রকোনা থানায়। অবশেষে প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে তাদের মুচলেখা নিয়ে বিয়ে বন্ধ করা হয়।