কালবৈশাখীর দাপটে লন্ডভন্ড পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম, গাছ পড়ে যান চলাচল ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন বহু এলাকায়

 বৃহস্পতিবার দুপুরে হটাৎ হওয়া কালবৈশাখী ঝড়ের দাপটে লণ্ডভণ্ড হলো মেদিনীপুর শহর। কুইকোটা, এলআইসি, কালেক্টরেট মোড় সহ শহরের বহু জায়গায় বড় বড় গাছপালা পড়ে যান চলাচল বিপর্যয় হয় পুরো শহরজুড়ে। মেদিনীপুর কালেক্টরেটের সামনে একটি সিগন্যাল পোস্ট উল্টে রাস্তার উপর পড়ে। আর এর ফলে বহু এলাকায় অনেকক্ষণ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকে।

দুপুর সাড়ে তিনটে থেকে বিকেল সাড়ে চারটে পর্যন্ত জৈষ্ঠ্য মাসের কালবৈশাখীর তাণ্ডবে বিপর্যস্ত হয় ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা। এনএইচ ৬০, লালগড় -মেদিনীপুর বাস রুটে প্রচুর বড় বড় গাছ রাস্তার উপরে উপড়ে পড়ে। কালবৈশাখী ঝড়ে লণ্ডভণ্ডও হয়ে যায় বিভিন্ন এলাকা সহ মেদিনীপুর শহর। কুইকোটা, এলআইসি, কালেক্টরেট মোড় সহ শহরের বহু জায়গায় বড় বড় গাছপালা পড়ে যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে যায় ও বিদ্যুৎ বিপর্যয় নেমে আসে। মেদিনীপুর কালেক্টরেটের সামনে একটি সিগন্যাল পোস্ট উল্টে রাস্তার উপর পড়ে।

আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর অনুযায়ী দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর, নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ ও দক্ষিণ আন্দামান সাগরের বেশকিছু অংশে আজ (১৯ মে) মৌসুমীবায়ু প্রবেশ করলো। আর তার ফল স্বরূপই এই অকাল কালবৈশাখী। প্রচন্ড দাবদাহের হাত থেকে মানুষজনকে সাময়িক স্বস্তি দিলো। আগামী ২/৩ দিনে পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ জেলায় উল্লেখযোগ্যভাবে ঝড়বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা কম। সোমবার অথবা মঙ্গলবার থেকে যা পুনরায় বাড়তে পারে।

এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, আজকের প্রবল বজ্রপাত ও বৃষ্টিতে খড়্গপুরে মাত্র ৪৫ মিনিটে ৩৩ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাজুড়ে বজ্রপাত রেকর্ড হয়েছে ৮৮০টি। সারাদিনের তীব্র দাবদাহের পর শান্তির বৃষ্টি মানুষের মনে উৎসাহের সৃষ্টি করে। কিন্তু সারা জেলাজুড়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও কম নয়। গাছ উপড়ে পড়ে ও ভেঙ্গে পড়ে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয় বিভিন্ন এলাকায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.