৩২৬ রান তাড়া করতে নেমে ৪১ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২২০ রান ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের। সেখান থেকে পরের ৯ ওভারে ১০৬ রান করেছে তারা। বলা ভাল করেছেন শাই হোপ। অধিনায়কের শতরানে ভর করে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়। ম্যাচ জিতেই হোপের মুখে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির নাম। ধোনি কি ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের নতুন ‘কোচ’ হয়ে গিয়েছেন! রান তাড়া করে তেমনটাই বলছেন হোপ।
ম্যাচ শেষে হোপ জানিয়েছেন, ধোনির মন্ত্রে রান তাড়া করে ম্যাচ জিতেছেন তাঁরা। হোপ বলেন, ‘‘ধোনির সঙ্গে আমার কয়েক মাস আগে কথা হয়েছিল। উনি বলেছিলেন, ব্যাট করার সময় তাড়াহুড়ো না করতে। বেশি ক্ষণ ক্রিজে থাকতে। আমি যত বেশি সময় ক্রিজে থাকব তত দলের সুবিধা হবে। ধোনির এই কথা মাথায় রেখেছিলাম। শেষ পর্যন্ত থাকার চেষ্টা করেছি।’’
ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের অধিনায়ক জানিয়েছেন, তিনি চেষ্টা করেছিলেন খেলা শেষ পর্যন্ত নিয়ে যেতে। নিজের উপর ভরসা রেখেছিলেন। তার ফল পেয়েছেন। হোপ বলেন, ‘‘আমি জানতাম শেষ পর্যন্ত খেলা নিয়ে যেতে পারলে ম্যাচ জেতার সম্ভাবনা থাকবে। সেটাই করার চেষ্টা করেছি। রোমারিয়ো শেফার্ডও খুব ভাল খেলেছে। দল যে জিতেছে তাতেই আমি খুশি।’’
অ্যান্টিগাতে প্রথম ম্যাচে ব্যাটিং খারাপ করেনি ইংল্যান্ড। ফিল সল্ট ৪৫, জ্যাক ক্রলি ৪৮, হ্যারি ব্রুক ৭১ রান করেন। শেষ দিকে স্যাম কারেন ৩৮ ও ব্রাইডন কার্স ৩১ রান করে দলকে ৩০০ পার করান। ৫০ ওভারে ৩২৫ রানে অল আউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড। ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের হয়ে রোমারিয়ো শেফার্ড, গুড়াকেশ মোতি ও ওশেন থমাস ২টি করে উইকেট নেন।
দেখে মনে হচ্ছিল, জেতার রান তুলে ফেলেছে ইংল্যান্ড। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের দুই ওপেনার অ্যালিক আথানেজ় ও ব্রেন্ডন কিং শুরুটা খুব ভাল করেন। শতরানের ওপেনিং জুটি করেন তাঁরা। আথানেজ় ৬৬ ও কিং ৩৫ রান করেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের ইনিংস সামলান অধিনায়ক শাই হোপ। শুরু থেকেই মারমুখী মেজাজে ছিলেন তিনি। তাঁকে সঙ্গ দেন শিমরন হেটমায়ের ও রোমারিয়ো শেফার্ড। হেটমায়ের ৩২ ও শেফার্ড ৪৯ রান করেন। তাঁরা আউট হয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত টিকেছিলেন হোপ। শতরান করেন তিনি। শেষ দু’বলে দু’টি ছক্কা মেরে দলকে জেতার হোপ। সাত বল বাকি থাকতে ৪ উইকেটে ম্যাচ জিতে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ়। ৮৩ বলে ১০৯ রান করে অপরাজিত থাকেন হোপ।