‘গহন মেঘের ছায়া ঘনায়, সে আসে’! মান্না দে’র বিখ্যাত গান, যার পরতে-পরতে মেঘবৃষ্টিছায়ার অনুষঙ্গ। বাঙালির মনে কি সেই গানেরই সুর এখন গুঞ্জরিত হয়ে উঠছে না? আপাত-অনুষ্ণ আবহাওয়া থেকে সহসা তীব্র গরম রাজ্যে সম্ভবত তাই। কাগজে-কলমে এখনও বসন্ত, চৈত্র চলছে। কিন্তু হলে কী হবে, ভ্যাপসানি গরমে তীব্র অস্বস্তিতে সকলে। তবে সুখবর মিলেছে। কী সেই সুখবর?
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের আঞ্চলিক অধিকর্তা সোমনাথ দত্ত আজ, শনিবার বিকেলের আবহাওয়ার আপডেটে দিলেন এই সুখবর। তিনি জানালেন, আগামীকাল রবিবার কালবৈশাখীর পূর্বাভাস রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড় ও বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। কালবৈশাখী হতে পারে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলায়। দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে ৬০ কিলোমিটার গতিবেগে। থাকবে বজ্রপাতের আশঙ্কাও।
জানা গিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গের চার জেলায় আজ, শনিবারও তাপপ্রবাহ চলবে। বীরভূম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও পশ্চিম বর্ধমান জেলায় বইবে এই তাপপ্রবাহ। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে নয়টি জেলায়। পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা। সঙ্গে দমকা ঝোড়ো হওয়া। ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়ার সর্তকতা।
সোমবার দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সঙ্গে কোথাও কোথাও ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে বইবে দমকা হাওয়া, হবে ঝড়।
উত্তরবঙ্গের সব জেলায় আজ, শনিবার বৃষ্টি হবে; থাকছে শিলাবৃষ্টি এবং ঝড়ের সম্ভাবনাও। দার্জিলিং কালিম্পং আলিপুরদুয়ার কোচবিহার জলপাইগুড়ি এবং উত্তর দিনাজপুর জেলায় বৃষ্টি-ঝড়ের সম্ভাবনা বেশি। দার্জিলিং কালিম্পংয়ের পার্বত্য এলাকায় শিলাবৃষ্টি। দমকা ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগ ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় হতে পারে।
শনিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই দমকা ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকছে। ঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা।