পশ্চিমবঙ্গে ইতিমধ্যেই বর্ষা প্রবেশ করেছে। বৃষ্টি হওয়ার জন্য যে পরিস্থিতি থাকা দরকার তা রয়েছে। বিস্তৃত নিম্নচাপ অক্ষরেখা রয়েছে। রাজস্থান থেকে পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে তা উত্তর-পূর্ব বে অফ বেঙ্গলে প্রবেশ করেছে। এর ফলে ভারী বৃষ্টিপাত না হলেও বর্ষার বৃষ্টিপাত হবে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের প্রাদেশিক অধিকর্তা সোমনাথ দত্ত জানিয়ে দিলেন বিকেলের আবহাওয়ার আপডেট।
সিস্টেম
পশ্চিমবঙ্গে ইতিমধ্যেই বর্ষা প্রবেশ করেছে। বৃষ্টি হওয়ার জন্য যে পরিস্থিতি থাকা দরকার তা রয়েছে। বিস্তৃত নিম্নচাপ অক্ষরেখা রয়েছে। রাজস্থান থেকে শুরু হয়ে পশ্চিমবঙ্গের আসানসোল এবং বাগাটি দিয়ে পাস করে নর্থ ইস্ট বে অফ বেঙ্গলে প্রবেশ করেছে। এর ফলে ভারী বৃষ্টিপাত না হলেও বর্ষার বৃষ্টিপাত হবে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে .৯ কিলোমিটারে একটি অক্ষরেখা সাউথ-ওয়েস্ট উত্তর প্রদেশ থেকে শুরু করে পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে অসম পর্যন্ত গিয়েছে। একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে পশ্চিম-মধ্য বে অফ বেঙ্গলে সাউথ ওড়িশা কোস্ট-সংলগ্ন অঞ্চলে। এই ঘূর্ণাবর্তটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৭.৬ কিমির লেয়ারে রয়েছে।
আজকের বৃষ্টি আপডেট
আজ পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে ৭৫% বেশি। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, দুই বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম, ওয়েস্ট মেদিনীপুর এই জেলাগুলিতে ৫০% থেকে ৭৫ % পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
আগামীকাল উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং জলপাইগুড়ি কালিম্পং আলিপুরদুয়ার কোচবিহার– এই জেলাগুলিতে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে ৭৫% বেশি। পশ্চিমবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে ৫০% থেকে ৭৫% পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
আগামী পরশু দিন উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং জলপাইগুড়ি কালিম্পং আলিপুরদুয়ার কোচবিহার– এই জেলাগুলিতে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে ৭৫% বেশি। এবং উত্তরবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে ৫০% থেকে ৭৫% পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গে ২৫% থেকে ৫০% বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
আগামী ৯ জুলাই উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং জলপাইগুড়ি কালিম্পং আলিপুরদুয়ার কোচবিহার– এই জেলাগুলিতে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে ৭৫% বেশি। এবং উত্তরবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে ৫০% থেকে ৭৫% পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গে ২৫% থেকে ৫০% বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
আগামী ১০ জুলাই উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং জলপাইগুড়ি কালিম্পং আলিপুরদুয়ার কোচবিহার– এই জেলাগুলিতে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে ৭৫% বেশি। এবং উত্তরবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে ৫০% থেকে ৭৫% পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গে বেশ কিছু জেলায় ২৫% থেকে ৫০% বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে, দক্ষিণবঙ্গে বেশ কিছু জেলায় ৫০% থেকে ৭৫% পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গে বেশ কিছু জেলায় ৫০% থেকে ৭৫% পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই জেলাগুলি হল– বর্ধমান , বীরভূম মুর্শিদাবাদ এবং নদীয়া।
১১ জুলাই এবং ১২ জুলাই উত্তরবঙ্গের সব জেলায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে ৭৫% বেশি। দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় ৫০% থেকে ৭৫% পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
বৃষ্টির তীব্রতার দিক থেকে বলতে গেলে আজ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের লাল সতর্কবার্তা রয়েছে উত্তরবঙ্গের উপরের পাঁচ জেলায়। অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা রয়েছে জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দার্জিলিং কালিম্পং কোচবিহারে। ভারী বর্ষণের হলুদ সতর্কবার্তা রয়েছে উত্তর দিনাজপুরে।
দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বীরভূম মুর্শিদাবাদ নদীয়া দুই ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া এবং মেদিনীপুরে।
আগামীকাল ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের কমলা সর্তকতা দেওয়া হয়েছে দার্জিলিং জলপাইগুড়ি কালিম্পং আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের সব কটি জেলায় তার সঙ্গে ইস্ট মেদনীপুর এবং মুর্শিদাবাদে।
৮ জুলাই দক্ষিণবঙ্গের কোনও সতর্কবার্তা নেই। উত্তরবঙ্গের ৬টি জেলায় সতর্কবার্তা রয়েছে।
৯ জুলাই ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গের ৬ জেলায়।
১০ জুলাই ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের কমলা সতর্কবার্তা রয়েছে উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলায়।
এই সপ্তাহের উত্তরবঙ্গের ৫ জেলায় প্রতিদিন ভারী বৃষ্টির সতর্কবার্তা রয়েছে।
দক্ষিণবঙ্গে
বাঁকুড়ায় বৃষ্টিপাত স্বাভাবিকের তুলনায় ৪২ শতাংশ কম। বীরভূমে ৪৪ শতাংশ কম। পূর্ব মেদিনীপুরে ৫৭ শতাংশ কম। হুগলি ৫৪ শতাংশ, হাওড়ায় ৫৫ শতাংশ, ঝাড়গ্রামে ৪৬ শতাংশ, কলকাতায় ৪৫ শতাংশ, মুর্শিদাবাদে ৪৬ শতাংশ, নদীয়ায় ৫৬ শতাংশ, উত্তর ২৪ পরগনায় ৫৯ শতাংশ, পশ্চিম বর্ধমানে ৩১ শতাংশ, পূর্ব বর্ধমানে ৩৯ শতাংশ, পুরুলিয়ায় ৪৮ শতাংশ, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৫৭ শতাংশ, পশ্চিম মেদিনীপুরে ৪৭ শতাংশ!
সমগ্র দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাত স্বাভাবিকের থেকে ৪৯ শতাংশ কম!
উত্তরবঙ্গে
আলিপুরদুয়ারের স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের তুলনায় ৯৫ শতাংশ বেশি, কোচবিহারে ১৩৩ শতাংশ, দার্জিলিংয়ে ৪৭ শতাংশ, গ্যাংটক ৫ শতাংশ, জলপাইগুড়ি ৪৭ শতাংশ, কালিম্পং ৪২ শতাংশ, মালদা ১৯ শতাংশ, গ্যালশিং ৫১ শতাংশ, মংগন ৭৯ শতাংশ, নামচি ৭২ শতাংশ, উত্তর দিনাজপুর স্বাভাবিকের তুলনায় ২৯ শতাংশ বৃদ্ধি কম, পাকিয়ং ৪১ শতাংশ, দক্ষিণ দিনাজপুর ৩৪ শতাংশ ও সোরেংয়ে স্বাভাবিকের তুলনায় ৪৫ শতাংশ বেশি।