বাংলায় এ কী চলছে! রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছে সব হাড়হিম করা খবর। আরজি কর হাসপাতালে (Kolkata Rape And Murder Case) কর্তব্যরত চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার তোলপাড় রাজ্য থেকে দেশ। অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সকলে। কলকাতায় প্রতিদিন রাস্তায় নামছেন শয়ে শয়ে মানুষ। অমানবিক, ন্যক্কারজনক, নৃশংস ঘটনা রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে সকলের। আর ঠিক আবহে ভয়ংকর ঘটনা ঘটে গেল ফের বাংলায়। যার অভিঘাতে কেঁপে গেল নদীয়া!
নদীয়ার জেলার ভীমপুর থানার অন্তর্গত ডিগ্রি গ্রামের ঘটনা। সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে পড়ে প্রতিবেশী যুবক। তারপর গৃহবধূকে একা পেয়ে ধর্ষণ ও খুনের চেষ্টা চালায় সে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই মহিলাকে কলকাতায় চিকিৎসা করাতে নিয়ে আসার পথে নির্যাতিতার মৃত্যু হয়। ওই মহিলাকে শারীরিক অত্যাচার করেছে যুবক এবং মাথায় আঘাতও করেছে বলে জানা যাচ্ছে।
পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে প্রতিদিনের মতোই ওই মহিলা তার ছোট ছেলেকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন ঘরে। সেই সুযোগে, পাশের গ্রামের এক যুবক গভীর রাতে ওই মহিলার বাড়িতে ঢোকে সিঁধ কেটে। মৃতার স্বামী থাকেন বিদেশে। এই ঘটনার পরদিন সকালে মৃতার শাশুড়ি বাড়ির পেছনে গিয়ে দেখেন যে, বিভিন্ন সরকারি কাগজ পড়ে রয়েছে বাইরে। এরপরই তিনি দেখেন যে, ঘরের সিঁধ কাটা। ঘরে গিয়ে দেখেন তাঁর বউমা অচৈতন্য হয়ে পড়ে রয়েছেন। এই অবস্থা দেখার পর তিনি চিৎকার করলে আশেপাশের লোকেরা তখনই ছুটে আসেন। মহিলাকে উদ্ধার করে কৃষ্ণনগরের শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে কলকাতায় এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছি। মাঝপথেই মৃত্যু হয়। দেহ ফিরিয়ে আনা হয়েছে কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে।
ভীমপুর থানার পুলিস তদন্ত শুরু করেছে। এবং ক্রাইম সিনের জায়গা ঘিরে রাখা হয়েথে। এই ঘটনায় এলাকার সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে মহিলারা তীব্র আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। এলাকাবাসীর একটাই দাবি, যে বা যারা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত তাদের কঠিন থেকে কঠিনতম শাস্তি হোক। শোনা যাচ্ছে এলাকার অনুজ নামে এক ব্য়ক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।