বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রে EVM ‘পরিবর্তনের চেষ্টা’! কীভাবে? কাঠগড়ায় খোদ অতিরিক্ত পুলিস সুপার ও বিষ্ণুপুর থানার আইসি। রিপোর্ট তলব করল নির্বাচন কমিশন। অভিযোগ সত্যি হলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। সূত্রের খবর তেমনই।
ঘটনাটি ঠিক কী? শনিবার ষষ্ঠ দফায় ভোট হয়ে গিয়েছে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে। গতবার এই কেন্দ্রে জিতেছিল বিজেপি। বিদায়ী সাংসদ সৌমিত্র খাঁ এবারও প্রর্থী। বিপক্ষে তৃণমূলের সুজাতা মণ্ডল।
ভোট মিটেছে শান্তিতেই। ৪ জুন ফল প্রকাশ। ইভিএমগুলি এখন বিষ্ণুপুর কেজি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের স্ট্রং রুমে। নিরাপত্তার দায়িত্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাইরে মোতায়েন রাজ্য পুলিস। সিসি ক্যমেরায় মোড়া স্ট্রং রুমে কড়া নজর রেখেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীরাও।
এদিন দুপুরে হঠাৎ-ই স্ট্রং রুমে হাজির হন বিষ্ণুপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ। তাঁর অভিযোগ, ‘পুলিসের যেখানে যাওয়ার কথা নয়। অতিরিক্ত পুলিস সুপার মাসুদ তাঁর নেতৃত্বে ইভিএমে দরজার কাছে চলে গিয়েছিল। সিসিটিভি বদলের জন্য মেশিন নিয়ে এসেছিল। ফলস সিসিটিভি লাগিয়ে অনেক লক্ষ টাকা ডিল করে, CISF একজন আধিকারিক, তাঁর সঙ্গে ডিল করে ইভিএমে দরজা ভাঙতে গিয়েছিল’। প্রার্থীর কথায়, ‘আর ১ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলে খেলা শেষ’।
এক্স হ্যান্ডেল পোস্টে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। তিনি লিখেছেন, ‘বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর কেন্দ্রে দেখা গেল, আইসি-কে সঙ্গে নিয়ে সিসিটিভি ক্য়ামেরা সরানো ও ইভিএম বদলানোর চেষ্টা করছেন অতিরিক্ত পুলিস সুপার!আমাদের প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ সেখানে পৌঁছন এবং তাঁদের হাতেনাতে ধরে ফেলেন। হারের ভয়ে অনৈতিক উপায় অবলম্বন করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’। এরপরই রিপোর্ট তলব করে কমিশন।
বিষ্ণুপুরের তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডলের পাল্টা দাবি, ‘গতকাল পর্যন্ত নিজে (সৌমিত্র খাঁ) ছিলেন স্ট্রং রুমে। স্ক্রটিনিতে গিয়েছিলেন। কোনও অভিযোগ করলেন না। আজ যখন নিশ্চিত হয়ে গিয়েছেন যে বিপুল মার্জিনে হারছেন, তখন নিজের ঘাড়ে যাতে দোষ না পড়ে, তাই দলীয় নেতৃত্বে বোঝানোর জন্য মিথ্যা, চলচাতুরি করে, গালাগালাজ করছেন’।