লোকসভা ভোটের প্রচারে বেরিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে একপ্রকার হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির রাজ্। সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সোমবার কুমারগঞ্জের সভা থেকে বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের উদ্দেশ্যে বলেন, লাঠিতে তেল মাখিয়ে রাখুন। ভোটের দিন বুথে যদি কোনও তৃণমূলের হার্মাদ আসে তাহলে খেলা হবে সোজা ছক্কা, মাঠের বাইরে।
বিজেপির রাজ্যসভাপতির এই বক্তব্যকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল নেতা সুভাষ চাকি। তিনি বলেন সাধারণ মানুষের মধ্যে ভয় সৃষ্টি করার জন্যই এরকম বক্তব্য রাখছেন সুকান্ত বাবু।
অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারী এই জনসভা থেকে জয়ের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেন। তিনি বলেন রাজ্য সভাপতির জয় ২ লক্ষ ভোটে হওয়া উচিত। জেলার মানুষের জন্য কাজ করেছেন তিনি। সুযোগ দিলে পরেরবার আরো অনেক কাজ করবেন তাই জয়ের লক্ষ্য বড় রাখতে হবে। সন্দেশখালি ঘটনার প্রতিশোধ নিতে হবে তাই মাতৃ মন্ডলী বিজেপিকে ভোট দিয়ে এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করবেন। তৃণমূলকে ভোট দেওয়া মানে ভোটটা নষ্ট করা। দেশের সংসদে মাত্র ৪৫টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে তৃণমূল। এরা সরকার গড়ার কাছাকাছি যেতে পারবে না। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার শখ এ জীবনে মিটবে না। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদি ছিলেন আছেন এবং আগামী দিনেও থাকবেন।
আগামী ২৬ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় ভোট গ্রহণ হবে বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে। তার আগে প্রচারে ঝড় তুলছে সব পক্ষই। রবিবার জেলায় দুটি জনসভা করে গেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার মধ্যে একটি করেছিলেন কুমারগঞ্জে অন্যটি বালুরঘাটে। বিজেপির দাবি দুটি জনসভাতেই সেভাবে লোক হয়নি। আজ কুমারগঞ্জের বরাহার মাঠে বিজেপির জনসভায় হাজার পাঁচেক মানুষের জমায়েত হয়েছিল। বিজেপির দাবি গতকাল মুখ্যমন্ত্রীর কুমারগঞ্জের সভায় লোক হয়নি। সুকান্ত মজুমদার পাল্টা দাবি করে বলেন কুমারগঞ্জ এবার বিজেপিকে লিড দেবে। অন্ততপক্ষে পাঁচ হাজার ভোটেও লিড পাবে বিজেপি।
কুমারগঞ্জের জনসভার পর সুকান্ত মজুমদারের সমর্থনে আরো একটি সভায় যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী। উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারে এই জনসভার আয়োজন করেছিল বিজেপি। সেখানেও লোকসমাগম খুব ভালো হয়েছিল বলে দাবি বিজেপি জেলা নেতৃত্বের।