সোমবার রাজধানী-সহ সংলগ্ন এলাকায় ঘুম ভেঙেছে ১.৪ ডিগ্রি তাপমাত্রায়। তাপমাত্র কমার পূর্বাভাস আগে থেকেই ছিল কিন্তু এতটা যে নেমে যাবে তা বোধ হয় আন্দাজ করতে পারেননি রাজধানীর মানুষজন। এরকম এক হাড়কাঁপানো পরিস্থিতিতে উত্তর ভারতের রাজ্যগুলির জন্য কমলা ও হলুদ সতর্কতা জারি করল দিল্লির মৌসম ভবন।
আবহাওয়া দফতরের নজরে রয়েছে বিশেষ করে দিল্লি এনসিআর,পঞ্জাব, হরিয়ানা ও রাজস্থান। ওইসব জায়গায় কোথাও হলুদ, কোথাও কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বলা হয়েছে রাজস্থানের কয়েকটি জায়গায় ঠান্ডা থেকে অতি ঠান্ডা বাতাস বইবে। এর ফলে তাপমাত্রা নেমে যাবে হুহু করে। এর পাশাপাশি পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, দিল্লি এনসিআর উত্তর প্রদেশ, বিহার, উত্তর মধ্যপ্রদেশে শৈত্যপ্রবাহ চলবে।
মৌসম ভবনের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, ‘জানুয়ারির ২১ থেকে ২৫ তারিখ পর্যন্ত তীব্র শৈত্যপ্রবাহের সম্ভবনা রয়েছে। এর ফলে হিমালয় সংলগ্ন এলাকায় বৃষ্টি ও তুষারপাত হতে পারে।’
পরিস্থিতি বিচার করে পঞ্জাবের গুরদাসপুর, ফিরোজপুর, মুক্তেশ্বর, জলন্ধর, হোসিয়ারপুর, ভাটিন্ডায় কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এছাড়াও রাজ্যের ফাজিলকা, বার্নালা, সংরুর, লুধিয়ানা, ফতেগড়ে জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা।
অন্যদিকে, হরিয়ানার সোনিপথ, ঝাঁঝর, রেওয়ারি, হিসারে জারি করা হয়েছে কমলা সকর্কতা। পাশাপাশি আম্বালা, কুরক্ষেত্র, ভিওয়ানি ও পালওয়ালে হলুদ সতর্কতা জারি হয়েছে।
পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড় এবং উত্তর প্রদেশ ও রাজস্থানের কিছু অংশে শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি এবং কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া বিরাজ করছে। হরিয়ানার হিসারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। সেখানে পঞ্জাবের অমৃতসরে তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গিয়েছে।