কেন্দ্রীয় আবহাওয়া বিজ্ঞান মন্ত্রকের পূর্বাঞ্চলের ডি ডি জি এম সোমনাথ দত্ত জানান যে শুক্রবার উত্তরের সব জেলায় বৃষ্টি। বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি। দক্ষিণে নদিয়া মুর্শিদাবাদ বীরভূম এবং দুই ২৪ পরগনা এবং দুই মেদিনীপুরে বৃষ্টি। কাল উত্তরে সামান্য বৃষ্টি হলেই দক্ষিণে বৃষ্টির আশা কম। পরশু কলকাতা হাওড়া হুগলি পুরুলিয়া এবং ঝাড়গ্রাম ছাড়া রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্র বৃষ্টির সম্ভাবনা।
ভোটের দিন ২০ তারিখ রাজ্য জুড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা, কমবে তাপমাত্রা। বৃষ্টি হবে কলকাতা সহ গোটা রাজ্যে। শীতল বাতাস বইবে। মনোরম পরিবেশে ভোট। মাঝে মাঝে বৃষ্টি কিছুটা বিঘ্ন ঘটাবে। তবে তা বিপর্যয়ের চেহারা নেবেনা। ২১ তারিখ উত্তরে বৃষ্টি কমবে। দক্ষিণে সব জেলায় বৃষ্টি বাড়বে।আজ বজ্র বিদ্যুৎ সহ দমকা ঝোড়ো হাওয়া পুরুলিয়া বাঁকুড়া বর্ধমান দুই মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম জেলায়।বাকি গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গ সহ উত্তরের সমতলের ৩ জেলায় ঘর্মাক্ত উষ্ণ আবহাওয়া। বিশেষত মালদা দুই দিনাজপুর এবং কোচবিহারে অস্বস্তি বাড়বে।
উত্তরের দুই দিনাজপুর কাল তাপপ্রবাহের কবলে পড়বে। কাল দক্ষিণে বাঁকুড়া ও পশ্চিম বর্ধমানে তাপপ্রবাহ। ১৯ তারিখ দুই ২৪ পরগনা ও দুই মেদিনীপুরের বজ্র বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়ার পূর্বাভাস। ১৯ তারিখ উত্তরের পার্বত্য জেলায় ৪০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস। ২১ তারিখ গোটা দক্ষিণবঙ্গে বজ্র বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সঙ্গে ৪০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া।
মালদহের বজ্রপাত নিয়ে আলিপুর আবহাওয়া অফিসের বক্তব্য-
‘আমাদের উত্তরবঙ্গে রাডার নেই। তাই স্থানীয় বজ্রপাতের পূর্বাভাস আমরা দিতে পারিনি। আমাদের পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র ইংরেজবাজার এলাকায় আছে। তাই রতুয়া তে যা ঘটেছে আমরা তার আঁচ পাইনি। আমরা কাল বজ্র বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির নাও কাস্ট দিয়েছিলাম। কিন্তু এতো তীব্র বজ্রপাতের পূর্বাভাস আমরা দিতে পারিনি। আমাদের বিভাগীয় অনুসন্ধান চলছে’।
রিমেল?
২৩ তারিখ সমুদ্র পৃষ্ঠ বেশ উষ্ণ থাকবে। তার ওপর মৌসুমী বায়ু আন্দামান সাগরে পৌঁছে যাবে। অতএব এখনও পর্যন্ত নিম্নচাপ বলয় তৈরির সম্ভাবনা আছে। শক্তি বাড়ানোর মতো সমস্ত পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে সেখানে। আরও শক্তি বাড়িয়ে এটি নিম্নচাপ, তারপর গভীর বা অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। আমরা সিস্টেমটি নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখছি। সিস্টেম ডেভেলপ হলে আপডেট দেওয়া হবে।