ঠিক যেভাবে মাঠে ব্যাটিং করেন, সেভাবেই মাঠের বাইরেও ঝড়ো ব্যাটিং করলেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। আহমেদাবাদের পিচ নিয়ে যারা দিন কয়েক আগে থেকে কুম্ভীরাশ্রু ফেলছিলেন তাঁদের সপাটে মাঠের বাইরে ফেললেন বিরাট (Virat Kohli)। বলে দিলেন, পিচ নিয়ে কান্নাকাটি করে না বলেই ভারতীয় দল এত সফল। স্পিনিং পিচ নিয়ে সমালোচনা করা যে অহেতুক তা বোঝাতে বিরাট বললেন, “আমার মনে হয়, স্পিনিং ট্র্যাক নিয়ে একটু বেশিই হইচই হয়।” পিচ নিয়ে সমালোচনার জন্য ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এবং বিশেষজ্ঞদের একাংশকে ঠুকলেন ভারত অধিনায়ক।
বস্তুত, আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) স্টেডিয়ামে তৃতীয় টেস্ট দেড় দিনে শেষ হওয়ার পরই পিচ নিয়ে কান্নাকাটি শুরু হয় সংবাদমাধ্যমের একাংশে। ইংল্যান্ডের প্রাক্তনীদের একাংশও আহমেদাবাদের স্পিনিং উইকেট নিয়ে সমালোচনায় বিদ্ধ করলেন বিসিসিআইকে। মাইকেল ভন তো আবার টুইটারে এবড়ো-খেবড়ো পিচের ছবি পোস্ট করে ট্রোলও করেছেন। এবার সেই সব সমালোচকদের একহাত নিলেন বিরাট। বলে দিলেন,”শুরু থেকেই স্পিনিং পিচ নিয়ে বেশি সমালোচনা হয়। কিন্তু আমাদের নিজেদের প্রতি আরও সৎ হতে হবে। এর পিছনে কী উদ্দেশ্য আছে জানি না। যখন কোনও সিমিং উইকেটে কোনও দল ৪০-৪৫ রানে অল আউট হয়, তখন তো কিছু বলা হয় না।” এরপরই বিস্ফোরণ ঘটান বিরাট। বলে দেন, “আমরা যখন নিউজিল্যান্ডে ৩ দিনের মধ্যে টেস্ট হারলাম তখন কেউ পিচ নিয়ে সমালোচনা করেনি। সবাই প্রশ্ন তুলেছে আমরা কতটা খারাপ খেলেছি। কেউ একবারও বলেনি, বল কতটা নড়ছিল, খেলাটা কতটা কঠিন ছিল। আসলে আমাদের সাফল্যের কারণটাই হল, আমরা পিচ নিয়ে কান্নাকাটি করি না। আমরা এভাবেই পরিশ্রম করে ভাল ফল করতে থাকব।”
পিচ নিয়ে বিতর্ক যতই হোক, আহমেদাবাদের পিচের চরিত্র শেষ ম্যাচেও বদলাচ্ছে না বলে সূত্রের দাবি। চতুর্থ টেস্টেও নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের পিচ হচ্ছে স্পিন সহায়ক। সেকারণেই সম্ভবত এই টেস্টেও ৩ স্পিনারে নামছে ভারত। আগের ম্যাচে তেমন বল করার সুযোগ না পেলেও ওয়াশিংটন সুন্দর এই ম্যাচে খেলবেন বলেই সূত্রের খবর। দলে একমাত্র পরিবর্তন হিসেবে বিশ্রামে যাওয়া বুমরাহর বদলে দলে আসতে পারেন সিরাজ।