কখনও মেঘলা আকাশ। কখনও তেড়ে বৃষ্টি। মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে এমনই চলছে কয়েকদিন ধরে। এর মধ্য়েই নিম্নচাপের ভ্রুকুটি। এমনকি কোনও ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। ফলে ফের এক দুর্যোগের আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে বাংলায়।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী ২৮-২৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে উত্তর আন্দামান সাগর একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে। সেই ঘূর্ণাবর্ত পরবর্তী ৪৮-৭২ ঘন্টায় বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপে পরিণত হবে। এই নিম্নচাপ পরবর্তী সময়ে শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় কিনা এবং যদি হয়, তাহলে সে কতটা শক্তিশালী হবে এবং তা কোন দিকে যায় সেদিকে নজর রাখছেন আবহাওয়াবিদরা। যদি এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় তাহলে এর নাম দেওয়া হবে ‘তেজ’। অক্টোবর মাসের ২ বা ৩ তারিখের মধ্যে এ বিষয়ে আরও সুস্পষ্ট আপডেট দেবে দিল্লির মৌসম ভবন।
উত্তরবঙ্গের বর্তমানে সক্রিয় মৌসুমী অক্ষরেখা। দক্ষিণবঙ্গে আজকের পর আপাতত সেভাবে আর সক্রিয় নয়। মৌসুমী অক্ষরেখা পুরুলিয়া থেকে কৃষ্ণনগরের উপর দিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতের মণিপুর পর্যন্ত বিস্তৃত। ঘূর্ণা বর্ত এই মুহূর্তে বিহারে অবস্থান করছে। এই ঘূর্ণাবর্তের সমাপ্তি রেখা থেকে থেকে আসাম পর্যন্ত একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা তৈরি হয়েছে।
আবহাওয়া দফতররে মতে উত্তরবঙ্গে রবিবারে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলাতে। সোমবারের পরেও উত্তরবঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে।
দক্ষিণবঙ্গে আজ থেকে বৃষ্টির পরিমাণ ও ব্যাপকতা কমবে। বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টি চলবে সোমবার পর্যন্ত। সোমবার থেকে তাপমাত্রা বাড়বে। মঙ্গলবার থেকে আরও কমবে বৃষ্টির সম্ভাবনা। আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও থাকবে।
কাল কলকাতায় দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি নেমে ২৯.৬ ডিগ্রি। কাল রাতের তাপমাত্রা ২৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৮৪ থেকে ৯৭ শতাংশ। আলিপুরে কাল ৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী ২ ঘন্টায় কলকাতার লাগোয়া জেলাগুলিতে বজ্র বিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি সম্ভাবনা রয়েছে।