চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। স্ট্রংরুমে হিসেবে মিলছে না একটি ব্যালট বক্সের। এরই প্রতিবাদে গাজোলের স্ট্রংরুমের সামনে ধর্নায় বসলেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। এনিয়ে টু্ইট করে তৃণমূলকে বিঁধলেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। এনিয়ে তোলপাড় গাজোল।
ব্য়ালট বাক্স বদলের অভিযোগ নিয়ে খগেন মুর্মু বলেন, গাজোল বিধানসভার গাজোল হাজি নাকো মহম্মদ হাইস্কুলে স্ট্রংরুম করা হয়েছে। গতকাল রাত সাড়ে দশটা থেকে এগারোটার মধ্যে আমরা স্ট্রংরুম দেখতে আসি। সঙ্গে গাজোলের বিধায়ক ছিলেন, জেলা পরিষদের প্রার্থীরা ছিলেন। স্ট্রংরুমটি বাইরে থেকেই দেখছিলাম সেটি ঠিক আছে কিনা। এরমধ্যেই খবর আসে গাজোল বিধানসভার সালাইডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের ৮৩ নম্বর বুথের ব্যালট বাক্সটি পোলিং স্টাফরা জমা দিয়েছেন কিন্তু সেটি স্ট্রং রুমে রিসিভ হয়নি। সঙ্গে সঙ্গে এনিয়ে খোঁজখবর করি। বিডিও, জয়েন্ট বিডিও ছিলেন। খোঁজ নিয়ে দেখা যায় ব্যালট বাক্সটি রিসিভ হয়নি। তার মানে ওই ব্যালট বক্সটি গায়েব হয়ে গিয়েছে।
পঞ্চায়েত ভোটের কারচুপি করার অভিযোগ করতে গিয়ে ওখানেই থেমে থাকেননি খগেন মুর্মু। তিনি আরও বলেন, মাজেরা গ্রাম পঞ্চায়েতের ২১৭ নম্বর বুথের যে পোলিং স্টাফ, ওখানকার প্রিসাইডিং অফিসার-সহ এই ক্যাম্পাসের ১৬ নম্বর রুমের ভেতরে ব্য়ালট বাক্স বদল করা চেষ্টা করছিলেন। শুধু তাই নয়, জেলা পরিষদের ব্যালট বাক্স ফাঁকা করে দিয়েছেন। কিছু ব্যালট সেখানে পড়ে রয়েছে। এরই প্রতিবাদে আমরা ধর্নায় বসেছি। ওদের হাতেনাতে ধরেছি। বোঝা খুব মুসকিল। অগুন্তি বাক্স বদল করা হচ্ছিল বলে মনে হচ্ছে। মানুষের প্রতি আস্থা তৃণমূলের নেই। এভাবেই ওরা ক্ষমতায় আসতে চায়। ক্ষমতা দখল করতে চায়।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাহারার পরও কীভাবে এই কাণ্ড? খগেনবাবু বলেন, কোনও কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল না। বুথগলোতে ছাপ্পা মেরেছে। প্রার্থীদের মারধর করা হয়েছে। এখানে মাত্র ২ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান রয়েছেন। বুথে যখন পারলেন না তখন স্ট্রংরুমে বাক্স বদল করে জেতার চেষ্টা করছেন। মালদা, গাজোলের বিভিন্ন জায়গায় এসব হয়েছে। ওইসব জায়গা রিপোলের দাবি করছি।
খগেন মুর্মুর ওই অভিযোগ নিয়ে তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, শেষপর্যন্ত খগেন মুর্মুও এসব বলছেন! সিপিএম থেকে বিজেপিতে এসেছেন। ২০০৩, ২০০৮ সালে ওঁরা কীভবে ভোট করিয়েছেন মনে নেই! ৯৮ শতাংশ, ৯৯ শতাংশ ভোট পড়ত। কেউ জানতো না। মানুষের হাতে কালির ছাপ থাকতো না। তারা বুথে এসে ভোট দিয়ে যেত। আসল ব্যাপার হল, এঁরা পরাজিত এটা বুঝে গিয়ে এসব করছেন।
বাক্স বদলের অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে ট্যুইট করেছেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। একটি ট্যুইটে তিনি লিখেছেন, মালদহে ব্যালট বাক্স বদলের সময়ে হাতেনাতে ধরা পডে়ছে তৃণমূল। বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু, এলাকার বিধায়ক ও জেলা পরিষদের প্রার্থীরা গিয়ে হাতেনাতে ধরেছেন। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর থেকেও এরকম ঘটনার খবর পাওয়া গিয়েছে।