ওয়াটগঞ্জে মহিলার ধড়হীন মাথা উদ্ধারের ঘটনায় উঠছে একাধিক প্রশ্ন। দেহের টুকরো কি জলে ফেলার পরিকল্পনা ছিল? কারণ, যে প্লাস্টিকে মহিলার মাথা পাওয়া গিয়েছে তার মধ্যে মিলেছে অর্ধেক একটি ইট। অথচ মহিলার মাথার বাইরে কোথাও থেঁতলানো বা কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। পুলিস মনে করছে, সম্ভবত গঙ্গায় ওই প্লাস্টিক ফেলার পরিকল্পনা ছিল। সেই কারণেই ইট প্লাস্টিকে ভরা হয়। যাতে গঙ্গায় ফেললে সেটি ডুবে যায়।
প্রশ্ন উঠছে, আগে খুন করে তারপর দেহ বিচ্ছিন্ন করা হয়? কারণ যে দেহাংশ মিলেছে তাতে রক্ত একেবারে শুকিয়ে গিয়েছে। তার থেকে পুলিসের অনুমান, আগে মহিলাকে খুন করা হয়। তারপর দেহ টুকরো করা হয়। তবে গোটা বিষয়টি স্পষ্ট হবে আজ ময়নাতদন্তের পর। কী ভাবে খুন করা হয়, কোন ধরনের ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করে দেহ কাটা হয়, ময়নাতদন্তের পরই তা স্পষ্ট হবে।
এর পাশাপাশি, ঘটনাস্থল লাগোয়া সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখছে পুলিস। ঘটনাস্থল সংলগ্ন কয়েকটি জায়গার সিসিটিভির ফুটেজ ইতিমধ্যেই সংগ্রহ করেছে পুলিশ। এখন সেই সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে কোনও ক্লু মেলে কি না, সেটাই দেখার। ওয়াটগঞ্জের ওই পরিত্যক্ত এলাকাটিতে একসম থাকতে সিআইএসএফ। খুনিরা সব জেনেই ওই জায়গায় দেহাংশগুলি ফেলে দিয়ে আসে বলে মনে করা হচ্ছে।
পরিত্যক্ত একটি বহুতলে প্লাস্টিকে মোড়া অবস্থায় মহিলার ধড়হীন মাথা ও দেহাংশ উদ্ধার হয়। স্থানীয় মানুষজনই পুলিসকে খবর দেয় যে ওই পরিত্যক্ত বাড়িতে প্লাস্টিকে মোড়া দেহাংশ পড়ে রয়েছে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে চলে আসে পুলিস। ঘটনাস্থলে চলে আসেন ডিসি পোর্ট হরেকৃষ্ণ পাই ও কলকাতা পুলিসের হোমিসাইড টিম।
তারপর প্লাস্টিকের মোড়ক খুলতেই পুলিস দেখে ভেতরে রয়েছে এক মহিলার মাথা ও দেহাংশ। প্রাথমিকভাবে পুলিস মনে করে যে, অন্য কোথাও ওই মহিলাকে খুন করে দেহাংশ প্লাস্টিকে মুড়ে এনে ওই পরিত্যক্ত বহুতলের পাঁচিল ঘেরা জায়গায় ছুঁড়ে ফেলা হয়েছে। নিহত মহিলার বাকি দেহাংশের খোঁজেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে। সব মিলিয়ে এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।