খেলার মাঠ না নাটকের মঞ্চ! কী বলা যায়। বাংলাদেশে অনূর্ধ্ব-১৯ মেয়েদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের SAFF U19 Women’s Championship Final 2024) ফাইনাল যা দেখল, তা এর আগে ফুটবলবিশ্ব দেখেছে কিনা, তা নিয়ে পরিসংখ্য়ানবিদদের মধ্য়ে ধুন্ধুমার বেঁধে যেতে পারে। ভারতকে চ্য়াম্পিয়ন ঘোষণা করার পরেও, ট্রফিতে ভাগ বসাল বাংলাদেশিরা! ম্যাচ কমিশনারের একটি ভুলেই ভারতকে হতে হল যুগ্ম বিজয়ী!
গত বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার বিএসএসএসএমকে স্টেডিয়ামে, অনূর্ধ্ব-১৯ মেয়েদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল ছিল। নির্ধারিত সময়ে খেলার ফলাফল ছিল ১-১। ম্য়াচের আট মিনিটে শিবানী দেবীর গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ভারত। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের একেবারে শেষ মুহর্তে এসে সাগরিকার গোলে বাংলাদেশ স্কোরলাইন ১-১ করে। এরপরেই নিয়ম মেনে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানেও কোনও ফয়সলা হয়নি। কোনও দল পেনাল্টি মিস না করায় স্কোর হয় ১১-১১! এরপর টস করে বিজয়ীর নাম বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ম্য়াচ রেফারি। টসে ভারত জেতে। শুরু হয়ে যায় সেলিব্রেশন।
ভারতের উচ্ছ্বাস সহ্য় হয়নি বাংলাদেশিদের। গ্য়ালারি থেকে ভারতীয় ফুটবলারদের লক্ষ্য় করে শুরু হয় বোতলবৃষ্টি। অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে বিএসএসএসএমকে স্টেডিয়াম। পরিস্থিতি সামাল দিতে মাঠে নামে পুলিস। বাংলাদেশের ফুটবল কর্তারাও ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁরা রেফারিকে আলাদা করে ডেকে কথাও বলেন। ম্য়াচ রেফারি ও ম্য়াচ কমিশনার নিজেদের ভুল বুঝতে পারেন।
ফুটবলের নিয়ম মেনে ট্রাইব্রেকারে ফয়সলা না হলে খেলা গড়াবে সাডেন ডেথে। সেই নিয়মকে বেমালুম ভুলে কয়েন টস হয়। রেফারি এরপর জানান যে, দুই দলের ফুটবলারদের ফের মাঠে নেমে পেনাল্টি শ্যুটআউটে অংশ নিতে হবে। এর সঙ্গেই রেফারি জানান যে, তাঁর সিদ্ধান্তের আধ ঘণ্টার মধ্য়ে যদি ভারতের মেয়েরা মাঠে না নামেন, তাহলে বাংলাদেশের হাতেই তুলে দেওয়া হবে ট্রফি। ভারতের জন্য় দু’ঘণ্টা অপেক্ষা করা হয়। এরপর ভারত না আসায় দুই দেশকেই যুগ্ম বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এমন ঘটনা আগে ঘটেছে কিনা তা হয়তো ইতিহাস খুঁড়েও পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে।