পালঘরের চারোটি চেকপোস্ট পেরিয়ে পরের ২০ কিলোমিটার মাত্র ন’মিনিটে অতিক্রম করেছিল টাটা সন্সের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সাইরাস মিস্ত্রির গাড়ি। অর্থাৎ ঘণ্টায় প্রায় ১৩৫ কিলোমিটার বেগে চলছিল দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে এমনটাই। প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে, অতিরিক্ত গতির কারণেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন গাড়ির চালক। আর এর ফলেই গাড়িটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
সূত্র মারফত এ-ও জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার সময় গাড়ির পিছনের সিটে বসে ছিলেন সাইরাস। গাড়ি চলার সময় সিটবেল্টও পরেননি তিনি। প্রাথমিক তদন্ত অনুসারে, দুর্ঘটনার সময় সাইরাস এবং তাঁর যে সহযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে, তাঁরা কেউই সিট বেল্ট পরে ছিলেন না বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রবিবার দুপুর সওয়া ৩টে নাগাদ নাগাদ মুম্বই থেকে ১৩৫ কিলোমিটার দূরে পালঘরের চারোটি এলাকায় একটি নদীর সেতুর উপর থাকা ডিভাইডারে ধাক্কা মারে সাইরাসদের গাড়িটি। সাইরাস এবং জাহাঙ্গীর পান্ডোলে পিছনের সিটে বসে ছিলেন। ঘটনাস্থল থেকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় সাইরাসকে। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৪।
সাইরাসের সঙ্গে এই গাড়িতে জাহাঙ্গীর ছাড়াও ছিলেন সাইরাসের বন্ধু দারিয়াস পান্ডোলে এবং তাঁর স্ত্রী অনাহিতা পান্ডোলে। এঁরা সকলেই একটি মার্সিডিজ গাড়িতে গুজরাতের আমদাবাদ থেকে মুম্বইয়ে ফিরছিলেন। গাড়িটি চালাচ্ছিলেন অনাহিতা।
প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে টাটা সন্স বোর্ড থেকে বাবা পালোনজি মিস্ত্রির অবসরের পর সাইরাস টাটা বোর্ডে যোগ দেন। ২০১২ সালে টাটা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান পদ থেকে রতন টাটা সরে যাওয়ার পর সেই পদে আসেন সাইরাস। তিনি সাপুরজি পালোনজি গোষ্ঠীর প্রতিনিধি। টাটা সন্সের সবচেয়ে বেশি শেয়ারও ছিল তাঁর হাতে। ২০১৬ পর্যন্ত চেয়ারম্যান পদে ছিলেন সাইরাস। ওই বছরেই টাটা সন্স বোর্ড তাঁকে চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে নটরাজন চন্দ্রশেখরনকে সেই দায়িত্ব দেয়।