ক্রমশ বড় আকার ধারণ করছে খালিস্তানিপন্থীদের আন্দোলন, হামলা, কার্যকলাপ। বারবার ঘটঠে ছন্দপতন। এবার খালিস্তানিদের হাতে আক্রান্ত হলেন এক ভারতীয় সাংবাদিক। অভিযোগ, গালিগালাজ শুনতে তো হয়েছেই, এমনকি খেতে হয় মারও। ঘটনাটি ঘটেছে ওয়াশিংটনে। ভারতীয় দূতাবাসের বাইরে। সেখানে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন খলিস্তানপন্থীরা। সেই ঘটনা নিয়ে খবর করতে গিয়ে সেখানে আক্রান্ত হলেন ভারতীয় সাংবাদিক ললিত ঝা। সাংবাদিকের উপর হামলার এই ঘটনার নিন্দা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
জানা গিয়েছে, খলিস্তান নেতা অমৃতপাল সিংহের সমর্থনে ভারতীয় দূতাবাসের বাইরে বেশ কিছু খলিস্তানপন্থী স্লোগান দিচ্ছিলেন। ওড়াচ্ছিলেন খলিস্তানি পতাকাও। ইংরেজি এবং পঞ্জাবি ভাষায় ভারতের বিরুদ্ধে নানা বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করছিলেন তাঁরা। এমনকি, পঞ্জাব পুলিশের বিরুদ্ধেও মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে স্লোগান দিচ্ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই দূতাবাসের বাইরে একটা উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এত বড় উত্তেজনামূলক ঘটনা আর অকুস্থলে সাংবাদিক থাকবেন না, তাই কি সম্ভব? দূতাবাসের সামনে হাজির হয়েছিলেন ভারতীয় সাংবাদিক ললিত ঝা।
তবে, তাঁদের আন্দোলনের জায়গায় সাংবাদিক দেখেই চটে ওঠেন খালিস্তানিরা। অভিযোগ, খলিস্তানপন্থীরা ললিতকে ঘিরে ধরে মারধর শুরু করে দেন। ঘটনার পরে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে একটি সংবাদসংস্থাকে ললিত জানান– তাঁর কানের নীচে আঘাত করা হয়েছে, লাঠি দিয়ে মারধরও করা হয়েছে তাঁকে। নিজেকে বাঁচাতে শেষমেশ জরুরি নম্বরে ফোন করতে বাধ্য হন তিনি।
ঘটনার কড়া সমালোচনা করেছে ভারতীয় দূতাবাস। এক বিবৃতি জারি করে তারা জানিয়েছে– তারা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছে! শীর্ষস্তরের এক সাংবাদিকের উপর হামলা অত্যন্ত নিন্দনীয়। ওই সাংবাদিককে হেনস্থা, হুমকি এবং মারধরও করা হয়। তাঁর নিরাপত্তার কথা ভেবে প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে।
দূতাবাসের সামনেই উপস্থিত ছিলেন আমেরিকার সিক্রেট সার্ভিস আধিকারিকেরা ললিতও তাঁদের দেখতে পেয়েছিলেন। ফলে গোটা ঘটনাটি তাঁদের জানান ললিত। তাঁরাই ললিতকে উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যান। তাঁর সাহায্যে এগিয়ে আসার জন্য সিক্রেট সার্ভিসকে কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছেন ললিত।