জলপাইগুড়ি পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কিছুটা অংশ জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। করলা নদীর জল বেড়ে যাওয়ায় এই বিপত্তি। জলের তলায় রয়েছে প্রায় শতাধিক বাড়ি। বর্ষা শুরু হতেই এই প্রথম জলমগ্ন হল পরেশ মিত্র কোলনি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি, এলাকায় বাঁধের প্রয়োজন। বেশ কয়েকবার সার্ভে করা হলেও আজও বাঁধ হয়নি। এর জেরে জলমগ্ন এলাকা, দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রতিবছর। বৃহস্পতিবার রাতের টানা বর্ষনে জল বেড়েছে করালা নদীর। জলমগ্ন ওই পরিবারগুলিকে উঁচু জায়গায় নিয়ে আসা হয়েছে। কেউ পুরসভার ফ্লাড শেল্টারে, আবার অনেকে স্থানীয় স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন। জলপাইগুড়ি পুরসভার পক্ষ থেকে জলমগ্ন এলাকার জন্য পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দুপুরে তাদের খাবার ব্যবস্থা করা হবে পুরসভার পক্ষ থেকে।
এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রতি বছর এই এলাকায় জল ওঠে। নদীর এই অংশে যদি বাঁধের ব্যবস্থা করা হয় তাহলে তারা এই জল যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবেন। পুরসভারও একই মত। ওই এলাকায় বাঁধের জন্য তারা সংশ্লিষ্ট দফতরের সাথে যোগাযোগ করে স্থায়ীভাবে এই সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণের করার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে।
স্থানীয় কাউন্সিলর পৌষালি দাস বলেন, “প্রতি বছরের সমস্যা। এখনও সমস্যার সমাধান হয়নি স্বাভাবিক ভাবে স্থানীয়রা হতাশ। তবে পুর কর্তৃপক্ষ সমস্যার কথা জানেন। এলাকার বাঁধ নির্মাণের জন্য আমিও প
করে যাচ্ছি।”
পুরসভার চেয়ারম্যান পাপিয়া পাল বলেন, “পরেশ মিত্র এলাকা আমাদের নজরে রয়েছে। প্রয়োজনে শুকনো খাবার দেওয়া হবে। তবে ওই এলাকায় বাঁধের প্রয়োজন, সেচমন্ত্রী বাঁধ তৈরির অনুমোদন দিয়েছেন, বৈঠকে জানানো হয়েছিল। বিষয়টি প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে।”