আগামীকাল থেকে রাজ্যের ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণের কাজ শুরু হচ্ছে। তবে প্রশিক্ষণ শুরুর আগে থেকেই রাজ্যের শিক্ষক সহ ভোটের কাজে যারা নিযুক্ত হন সেই সব কর্মীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। তাঁরা বলছেন, এবারের নির্বাচনের (Assembly Election) উত্তাপ বেশি। তাই চিন্তা হচ্ছে। ভোটের কাজ করতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত না কোনও বিপদে পড়তে হয়।
নির্বাচনে সরকারি কর্মী, শিক্ষকরা ভোটের কাজে নিযুক্ত হন। গত ২০১৮-র পঞ্চায়েত নির্বাচনের সন্ত্রাসের কথা এখনও সরকারি কর্মী, শিক্ষকরা (Teacher) ভুলতে পারেননি। কারণ সেই সময় ভোটের কাজে বিভিন্ন জেলায়, বিভিন্ন বুথে ভোট পরিচালনার কাজ করতে গিয়ে চূড়ান্ত সঙ্কটে পড়তে হয় ভোটকর্মীদের।এবারের ভোটের উত্তাপ এখনই রাজ্যে যে ভাবে বাড়ছে তাতে খুবই চিন্তায় রয়েছেন ভোটের কাজে যোগ দিতে যাওয়া সরকারীকর্মী, স্কুল শিক্ষকরা।
এই প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ সরকারি স্কুল শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসু (Saugata Basu) বলেন, “এবারের নির্বাচনের উত্তাপ অনেক বেশি।কাল থেকে আমাদের নির্বাচনে কাজের প্রশিক্ষণ শুরু হবে। কিন্তু আমরা যারা এবার নির্বাচনের কাজে যাবো তাদের মধ্যে এখনই আতঙ্কের পরিস্থিতি শুরু হয়েছে। আমরা চাই ভোট শান্তিতে ও অবাধে হোক। আমরা যেন নিরপেক্ষভাবে ভোটের কাজ করতে পারি।”
এরপর সৌগতবাবু বলেন, “বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ( Panchyat Election) আমরা যারা ভোটের কাজে গিয়েছিলাম, তাঁদের মনে এখনও সেই ভোটের ভয়ঙ্কর দিনের কথা মনে আছে। আমরা চাই যারা ভোটের কাজে যোগ দিতে যাবেন তাদের যেন সঠিকভাবে কাজ করতে দেওয়া হয়। বিগত বছরের চাইতে এবারে ভোটার উত্তেজনা এখনই যে ভাবে বেড়ে আছে সেটা চিন্তার বিষয়। তাই আমরা চাই আমাদের নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে দেওয়া হোক। কেউ যেন আমাদের দিয়ে কোনও দলের পক্ষে কাজ করতে বাধ্য না করে।”
সৌগতবাবু জানান, “নিরাপত্তা চেয়ে প্রথমদিনের প্রশিক্ষণের পরই আমরা নির্বাচন কমিশনার কাছে আবেদন জানাবো। কেননা আমরা চাই শান্তিতে, অবাধে যাতে মানুষ ভোট দিতে পারেন এবং ভোটকর্মীরা কাজ করতে পারেন।”