Visva Bharati University: মেজাজ হারালেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য, সাংবাদিকদের ক্যামেরা কেড়ে নিতে বললেন পুলিশকে

বিশাল সংখ্যক নিরাপত্তারক্ষীর ঘেরাটোপে ও পুলিশ বাহিনীর নিরাপত্তায় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন উপাচার্য। সেই সময় উপাচার্য শান্তিনিকেতন থানার ওসি পার্থকুমার ঘোষকে সাংবাদিকদের ক্যামেরা ও মোবাইল কেড়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন। পুলিশ তা অস্বীকার করলে উপাচার্য সাফ জানিয়ে দেন রাজ্য পুলিশের কোনও দরকার নেই।

পড়ুয়াদের আন্দোলনের জেরে মঙ্গলবার থেকে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে শান্তিনিকেতন। বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী গতকাল বাসভবন থেকে বেরোনোর পরে পড়ুয়াদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। বুধবারও নিরাপত্তারক্ষী এবং পুলিশের ঘেরাটোপে বাসভবন থেকে বাইরে বেরোনোর সময় পড়ুয়াদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন উপাচার্য। আর তার মধ্যেই মেজাজ হারিয়ে সংবাদ মাধ্যমের ওপর ক্ষোভ উগড়ে দিলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। সংবাদমাধ্যমের মোবাইল ক্যামেরা কেড়ে নেওয়ার জন্য তিনি পুলিশকে নির্দেশ দিলেন।

এদিন বিশাল সংখ্যক নিরাপত্তারক্ষীর ঘেরাটোপে ও পুলিশ বাহিনীর নিরাপত্তায় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন উপাচার্য। সেই সময় উপাচার্য শান্তিনিকেতন থানার ওসি পার্থকুমার ঘোষকে সাংবাদিকদের ক্যামেরা ও মোবাইল কেড়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন। পুলিশ তা অস্বীকার করলে উপাচার্য সাফ জানিয়ে দেন রাজ্য পুলিশের কোনও দরকার নেই। বাসভবন থেকে কার্যালয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকরা উপাচার্যকে প্রশ্ন করলে সাংবাদিকদের উপর তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে যান। তিনি পুলিশের ওসিকে বলেন, ‘আমি আপনাকে নির্দেশ দিচ্ছি সাংবাদিকদের কাছ থেকে ক্যামেরা মোবাইল সরিয়ে নিন।’ এরপর তিনি ওসিকে বলেন, ‘আপনি দায়িত্ব পালন করছেন না। আমার পুলিশের সাহায্যের কোনও দরকার নেই। আপনারা চলে যান।’

ছাত্র আন্দোলনের জেরে ২২ দিন ধরে উত্তাল রয়েছে বিশ্বভারতী। উপাচার্যের বাসভবনের সামনে চলছে পড়ুয়াদের ধরনা। মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অশোক মাহাতো নেতৃত্বে নিরাপত্তারক্ষীরা ধরনা মঞ্চ ভেঙে দেয় বলে পড়ুয়াদের অভিযোগ। এমনকী ছাত্রীদের ধর্ষণ করার হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। সেই পরিস্থিতির মধ্যে এদিন পূর্বপল্লীর বাসভবন থেকে বেরোন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তারই মধ্যে উপাচার্যের এমন নির্দেশে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.