কর্ণাটকে নির্বাচনী ইশতেহারে বজরং দলের বিরুদ্ধে মানহানিকর মন্তব্য করার অভিযোগে মল্লিকার্জুন খাড়গের বিরুদ্ধে ১০০ কোটিরও বেশি টাকার মানহানির মামলা করেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। ইতিমধ্যে আইনি নোটিশও জারি করা হয়েছে কংগ্রেস প্রধানকে। আইনি নোটিশ পাঠানোর ১৪ দিনের মধ্যে ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে। গত ৪ মে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও তার শাখা সংগঠন বজরং দলের চণ্ডীগড় ইউনিট নোটিশ জারি করেছে।
আগামী ১০ মে কর্ণাটকে ভোটগ্রহণ। কংগ্রেস ১০ পৃষ্ঠার নির্বাচনী ইস্তেহারে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সহযোগী বজরং দলের বিরুদ্ধে মানহানিকর মন্তব্য করেছে বলে অভিযোগ। এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার কথা বলা হয়েছে ইস্তেহারে। পাশাপাশি জঙ্গি সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আইনজীবী তার আইনি সেলের সহ প্রধান সাহিল বানসালের আইনি নোটিশে এই কথা বলেছেন। ভিএইচপির অভিযোগ, পিএফআই ও সিমি হলো আলকায়দা ও আইএসআইএসএ’র সহযোগী সংগঠন, যাকে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এই জাতীয় ১০০ টিরও বেশি সংগঠন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই সংগঠনগুলিতে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করা হয়। কিন্তু বজরং দলের কার্যকলাপ এর থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।
বানসাল বলেছেন, বজরং দল সর্বজনীন, সহনশীল, ধর্মীয় ঐক্য, জাতীয় অখণ্ডতা ও ভারত মাতার প্রতি সেবায় নিযুক্ত একটি ধর্মীয় সংগঠন। এই সংগঠন জাতীয় অখণ্ডতায় বিশ্বাস করে। প্রভু শ্রী রাম ও ভগবান হনুমানের প্রতি এই সংগঠন শ্রদ্ধাশীল। এই সংগঠন এই দুই দেবতার থেকে অনুপ্রেরণা গ্রহণ করেছে।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদ দাবি করেছে, বজরং দল ধর্মীয় সংগঠন মানবজাতির সেবায় নিবেদিত প্রাণ। সেই কারণে বজরং দলের পরিচয় পত্র অপ্রতিরোধ্য। এটি সর্বজনীন সংগঠন, কিন্তু কংগ্রেস নির্বাচনী ইশতেহারে বজরং দলের বিরুদ্ধে মানহানিকর মন্তব্য করেছে। এর ফলে বজরং দলের সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে। বজরং দলকে উপহাস করা হয়েছে। অবজ্ঞা করা হয়েছে, বলে আইনি নোটিশে অভিযোগ জানানো হয়েছে।
আইনি নোটিসে বলা হয়েছে, বজরং দল সম্পর্কে নির্বাচনী ইশতেহারে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, তার বিরোধিতা করা হচ্ছে, কারণ তাদের খ্যাতি ও সম্মানে আঘাত করা হয়েছে। সেই কারণে বিশেষ ক্ষতিপূরণের দাবি করা হয়েছে। আইনি নোটিসে ১৪ দিনের মধ্যে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দলকে মোট ১১.১০ কোটি টাকা দিতে হবে কংগ্রেকে।