টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালেও ক্লিক করল না ভারতের ওপেনিং জুটি। বিরাট কোহলি (Virat Kohli) ও রোহিত শর্মাকে (Rohit Sharma) ওপেন করিয়ে, রানের ঝড় তোলার যে ভাবনা টিম ম্য়ানেজমেন্ট নিয়েছিল, তা পুরো কাপযুদ্ধেই মুখ থুবড়ে পড়েছে। ফাইনালের আগের সাত ইনিংসে কোহলির রান ছিল মোট ৭৫ (১, ৪, ০, ২৪, ৩৭, ০, ৯)! অর্থাৎ রোহিতকে একা রেখে তিনি বারবার ফিরে গিয়েছেন ডাগআউটে। এবার উল্টো চিত্র দেখা গিয়েছিল, বিরাটকে রেখে ফিরে যান রোহিত। ফাইনালে বিরাট মূলত ধরে খেলেই দুর্গ সামলানোর কাজটা করেছিলেন। ৫৯ বলে ৭৬ রান করে তিনি আউট হন। হাফ ডজন চার ও জোড়া ছক্কা হাঁকান। বিরাট ব্য়াটে ভর করেই ভারত ১৭৬ রান করেছিল। তবে বিরাটের ওই ইনিংসই দলকে চাপে ফেলে দিয়েছিল বলে মন্তব্য় করলেন সঞ্জয় মঞ্জরেকর (Sanjay Manjrekar)। প্রাক্তন মিডল অর্ডার তারকা সাফ বললেন যে, বিরাট ম্য়াচের সেরা হওয়ার যোগ্য়ই নন।
এক স্পোর্টস ওয়েবসাইটে সঞ্জয় বলেন, ‘দেখুন, বিরাট কোহলির ওই ইনিংসের জন্য় হার্দিক পাণ্ডিয়া মাত্র দু’বল খেলতে পারল ফাইনালে। যে ভারতের অন্য়তম বিধ্বংসী ব্য়াটার। আমি ভেবেছিলাম ভারত মোটের উপর ভালো রান করেছে। কিন্তু বিরাট সম্ভবক এমন একটা ইনিংস খেলল যাতে, ভারতকে চাপে ফেলে দিয়েছিল। এটা তো প্রায় প্রমাণিতই। ভারত যখন হারতে বসেছিল, তখনই বোলাররাই এসে বাঁচায়। ম্য়াচটা ৯০ শতাংশ জেতার সুযোগ ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। বিরাট অর্ধেক ইনিংসই খেলল ১২৮-এর স্ট্রাইক রেটে, ভারত যদি আটকে যেত, তাহলে কিন্তু বিরাটের ওরকম খেলা নিয়ে বিস্তর সমালোচনা হত। দেখতে গেলে ফাইনালের পটপরিবর্তনই বিরাটকে বাঁচিয়ে দিল। আর আমি হলে ম্য়াচের সেরা হিসেবে বিরাটকে নয়, কোনও বোলারকেই বেছে নিতাম। কারণ ওরাই তো হারের মুখে চলে যাওয়া দলটিকে জিতিয়ে দিল।’ মঞ্জরেকর সুযোগ পেলেই জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের কটাক্ষ করেন। কখনও রবীন্দ্র জাদেজা তো কখনও কোহলি। বিষয়টি তাঁর কাছে অভ্য়াসের মতোই হয়ে গিয়েছে।