হাতির উপদ্রবে অতিষ্ঠ বড়জোড়ার বনাঞ্চল সন্নিহিত একাধিক গ্ৰামের অধিবাসীরা। সামনেই মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। তাদের সুরক্ষার দাবিতে আজ সংগ্ৰামপুর বিট অফিসে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখান গ্ৰামবাসীরা। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গত ২ মাস ধরে বড়জোড়া বেলিয়াতোড় রেঞ্জ এলাকায় জংলি হতিরা তান্ডব চালাচ্ছে। ইতিমধ্যে ৪ জন নিরীহ গরিব মানুষের প্রাণ গেছে হাতির আক্রমণে।
বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। এই মুহূর্তে ৭৪টি হাতি রয়েছে বড়জোড়া এলাকাতেই। ৬টি খুনে হাতি ঢুকে পড়েছে সংগ্রামপুর বিটে। প্রতিদিন সকাল সন্ধে লোকালয়ে হামলা চালাচ্ছে তারা। আতঙ্কে বাড়ির বাইরে বের হতে পারছেন না বাসিন্দারা। তার উপর মাধ্যমিকে পরীক্ষা। তাই ২৪ ঘন্টার মধ্যে হাতি তাড়ানোর দাবিতে আজ মঙ্গলবার সংগ্রামপুর বিট অফিসে বিক্ষোভ দেখায় ৪- ৫ টি গ্রামের বাসিন্দারা। ক্ষোভে রাগে দুঃখে তারা বিট অফিসে তালা দিয়ে ঘেরাও করে রাখেন বিট অফিসার সহ বন কর্মীদের।
বিক্ষোভকারী রবিলোচন সিং বাঁকুড়া বন দফতরের কর্তাদের বিরুদ্ধে এক গুচ্ছ অভিযোগ এনে বলেন, আমাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। আগামীকাল সকালেই হয়তো শুনবেন আমি কিম্বা কোনো সহ নাগরিক হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে প্রাণ হারিয়েছি। বন মন্ত্রক ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে। একটা মানুষের জীবনের দাম কি ৫ লাখ টাকা। গরিব মানুষের এই মূল্য। অথচ সরকার এর সমাধান সহজেই করতে পারে। কিন্তু পকেট ভরানোর জন্য হাতি সমস্যা জিইয়ে রেখেছে। দীর্ঘক্ষণ তালা বন্দির খবর পেয়ে বড়জোড়া থানার পুলিশ এসে ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করে তালা খোলে।
এবিষয়ে বড়জোড়ার রেঞ্জার ঋত্বিক দে বলেন, ২৪ ঘন্টার মধ্যে হাতি সরানো সম্ভব নয়। তবে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো। তিনি বলেন, জঙ্গলের ভিতরের রাস্তা দিয়ে যে সব শ্রমিক বড়জোড়া শিল্পাঞ্চলে কাজে যান তাদের গাড়ি করে পৌঁছে দেওয়া এবং আনা হচ্ছে। মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্যও গাড়ির ব্যবস্থা করেছে বন দফতর।