Uttar Dinajpur: অনলাইন গেমের আড়ালে পাকিস্তানে ভারতের গোপন তথ্য পাচার? জঙ্গি-যোগে কালিয়াগঞ্জের যুবককে গ্রেফতার মুম্বই এটিএসের!

 সংসদ হামলার পর এবার জঙ্গি যোগের অভিযোগ বাংলার যুবকের বিরুদ্দে! দেশের গোপন তথ্য পাকিস্তান সহ বিভিন্ন দেশে পাচারের অভিযোগে উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ থেকে মুম্বইয়ের অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াডের হাতে গ্রেফতার এক অভিযুক্ত। যদিও পরিবারের দাবি, নিছক-ই মোবাইলে গেম খেলত ওই যুবক। সব মিলিয়ে এই ঘটনায় তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর দিনাজপুরে।

জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম মুক্তা মাহাতো। বাড়ি কালিয়াগঞ্জের কাঁকড়া মোড় এলাকায়। ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির দেশদ্রোহী আইন সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছে এটিএস। ধৃতের বিরুদ্ধে পাকিস্তান, প্যালেস্তাইন, ইরান সহ একাধিক দেশে ভারতের অভ্যন্তরীণ তথ্য পাচারের অভিযোগ ও জঙ্গী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। সম্প্রতি মুম্বইয়ে এটিএসের হাতে ধরা পড়ে একজন সন্ত্রাসবাদী। সূূত্রের খবর, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এটিএস গোয়েন্দারা কালিয়াগঞ্জের মুক্তা মাহাতোর নাম জানতে পারে। পাশাপাশি মুক্তার একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টেরও হদিস পায় এটিএস। সেই অ্যাকাউন্ট থেকে বেশ কিছু টাকা জঙ্গিগোষ্ঠীর কাছে একাধিকবার লেনদেন হয়েছে বলেও সূত্রের খবর। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলি।

এখন ধৃত মুক্তা মাহাতোর বাড়ির অদূরেই একটি অনলাইনের দোকান রয়েছে। সে শুধু-ই অনলাইনে গেম খেলত। তারজন্য সামান্য কিছু টাকা অনলাইনে লেনদেন করেছে সে। এমনটাই দাবি করেছে মুক্তার পরিবারের সদস্যরা। তাদের আরও দাবি, ফাঁসানো হয়েছে মুক্তাকে। এই গেম খেলায় তাকে অন্য কেউ যুক্ত করেছিল বলেও জানিয়েছে পরিবার। এদিন ধৃতকে সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতকে ট্রানজিট রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানানো হয় এটিএস-এর তরফ থেকে। বিচারক সেই আবেদন মঞ্জুর করে ১৮ ডিসেম্বর-ই মুম্বইয়ের বিশেষ আদালতে তোলার নির্দেশ দেন। এরপরই তাকে ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে মুম্বই নিয়ে গিয়েছে মুম্বইয়ের অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াড।

গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে ধৃত যুবক ভারতীয় একাধিক ডকের গোপনীয় তথ্য ভিন দেশে পাচার করেছে। এখন একদিকে যখন সংসদ হামলায় বাংলার যোগের অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে, ঠিক তখনই উত্তর দিনাজপুরের এক যুবকের জঙ্গি যোগের অভিযোগে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অন্যদিকে জঙ্গিদের স্লিপার সেলের হাতে ধৃত আক্রান্ত হতে পারে বলে সাবধানতা হিসেবে গোপনীয়তা অবলম্বন করছে পুলিস। তবে স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনার পর প্রশ্ন উঠছে যে, উত্তর দিনাজপুরে কি তবে জঙ্গিদের স্লিপার সেলের সদস্যরা সক্রিয়? একদিকে যখন এটিএস ঘটনার তদন্ত করছে, তখন অন্যদিকে জঙ্গিদের স্লিপার সেল কতটা সক্রিয় তার সন্ধান পেতে পুলিসের গোয়েন্দা বিভাগও তদন্তে নেমেছে বলে সূত্রের খবর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.