Urs, Midnapur, ছন্দপতন! মেদিনীপুরে ১২৪তম উরস- এ বাংলাদেশ থেকে এলো না বিশেষ ট্রেন

 প্রতি বছর উরস উৎসবে দুই বাংলার মিলনস্থল হয়ে ওঠে মেদিনীপুর। বাংলাদেশ থেকে বিশেষ ট্রেন আসে। এ বার অবশ্য সে ট্রেন আসে নাই। ১২৪ বছরে এমন ছন্দপতন এ নিয়ে পঞ্চম বার।বাংলাদেশ থেকে বিশেষ ট্রেনে তীর্থযাত্রীরা শহরের মিঁয়াবাজারে জোড়া মসজিদে সুফি সাধকের মৃত্যু বার্ষিকীতে আসেন। হজরত মহম্মদের ৩৩তম বংশধরের মাজার রয়েছে এখানে। সেই ১৯০২ সাল থেকে এই ট্রেন আসছে। ট্রেনে দু’হাজারের বেশি পুন্যার্থী থাকেন।

এ বার ৪ ফাল্গুন, ১৭ ফেব্রুয়ারি উরস উৎসবের আয়োজন হয়। বসে মেলাও। তবে বাংলাদেশে অস্থির পরিস্থিতির জেরে ‘উরস স্পেশাল ট্রেন’ আসে নাই। এর আগে ১৯৬৫, ১৯৭১, ২০২১, ২০২২ সালে ট্রেন আসেনি। ২০২১, ২০২২-এ আসেনি করোনা পরিস্থিতিতে। আর ১৯৬৫ ও ১৯৭১ সালে আসেনি মুক্তিযুদ্ধের জেরে।

অ্যালুমিনিয়ামের বাসনপত্র, মাদুর, ক্ষীরের গজা, মিহিদানা ইত্যাদি কিনে নিয়ে যান বাংলাদেশ থেকে আগত পূন্যার্থীরা। ফলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও প্রভাব পরতো। কিন্তু এই বছর ট্রেন না আসার ফলে কিছুটা প্রভাব পড়বে অর্থনীতিতেও।

তবে ট্রেন না এলেও উরস উৎসব হচ্ছে। বসেছে মেলাও। তার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে বুধবার সন্ধ্যায় মেদিনীপুর পুলিশ-প্রশাসনের বৈঠক হয়েছে। উরস মেলা কমিটির তরফে আব্দুল ওয়াহেদ এবং এলাকার মহল্লাদার আব্দুল ওয়াজেদ বলেন, “আশা করছি, মেলা সুষ্ঠু ভাবেই হবে। আমরা চাই দুই দেশের সম্পর্ক আবার আগের মত ফিরে আসুক।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.