২০২২ উত্তরপ্রদেশের বিধানসভার ভোটগ্রহণ পর্বের ইতি টানতে চলেছে ৭ মার্চ। সেদিন শেষ পর্যায়ের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হবে। ১০ মার্চ রয়েছে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার দিন। তার আগে যোগীগড়ে শেষ দফার ভোটে নজর কাড়তে চলেছে একাধিক হাইভোল্টেজ বিধানসভা আসন। ৫৪ আসনের এই পর্বের ভোটে ভোটগ্রহণের তালিকায় আলাদা করে নজর কাড়ছে বারাণসী। একনজরে দেখা যাক শেষ দফার বিধানসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশে কোন কোন এলাকা রয়েছে।
উল্লেখ্য, ৭ মার্চ সপ্তম দফার ভোট পর্ব শুরু হতে চলেছে উত্তরপ্রদেশে। শনিবার বিকেল ৪ টে পর্যন্ত রয়েছে ভোট প্রচারের শেষ সময়। শুক্রবার ইলেক্টোরাল অফিসার অজয় শুক্লা জানিয়েছেন, চাকিয়া, রবার্টগঞ্জ ও দুদ্ধিতে বিকেল ৪ টের পর থেকে বন্ধ থাকবে ভোট প্রচার। উল্লেখ্য, এই আসনগুলি মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকা। বাকি আসনগুলিতে ভোট প্রচার চলতে পারে সন্ধ্যে ৬ টা পর্যন্ত। জানা গিয়েছে, এই তিনটি আসনে ভোটগ্রহণ সকাল ৭ টা থেকে বিকেল ৪ টে পর্যন্ত চলবে। উল্লেখ্য, ৯ জেলার ৫৪ আসনে এই ভোটগ্রহণ হবে। এই আসনগুলির মধ্যে আজমগড়, জৌনপুর, গাজিপুর, মউ, মিরজাপুর, সোনভদ্রা, ভাদোহি ও বারাণসী জেলা আলাদা করে নজর কাড়ছে। ভোটপর্বে অন্যতম দৃষ্টি আকর্ষণকারী প্রার্থীদের তালিকায় রয়েছেন,জাহুরাবাদের ওমপ্রকাশ রাজভর, বারাণসী দক্ষিণে নীলকণ্ঠ তিওয়ারি, রোহানিয়াতে অনুপ্রিয়া প্যাটেল। প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশে সপ্তম দফার ভোট ঘিরে বারাণসী আলাদা করে নজর কাড়ছে। কারণ এই কেন্দ্রের সাংসদ স্বয়ং নরেন্দ্র মোদী। ফলে এই কেন্দ্রে ২০২২ সালের ভোট সমীকরণ ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের নিরিখেও বেশ তাৎপর্যপূর্ণ থাকবে।
উল্লেখ্য, শেষ দফার ভোটে ৫৪ টির মধ্যে বহু আসনেই বিজেপির শক্ত ঘাঁটি রয়েছে। সেখানে সমাজবাদী পার্টি আলাদা করে দংশন করার চেষ্টা চালাচ্ছে। শেষ পর্বের ভোটে আজমগড় ও বিন্ধ্যাঞ্চলে হবে ভোট গ্রহণ। আর এখানেই বিজেপিকে মাত দেওয়ার বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে সমাজবাদী পার্টির সামনে। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ভোটে বারাণসীর ৮ টি আসনের মধ্যে ৬ টিতে জিতেছিল বিজেপি। সঙ্গে ছিল আপনা দল। তবে এবার আপনা দল রয়েছে অখিলেশ শিবিরের সঙ্গে। সেই জায়গা থেকে শেষ দফার ভোটে উত্তরপ্রদেশে বারাণসীর সমীকরণ সহ তিনটি মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকা চাকিয়া, রবার্টগঞ্জ ও দুদ্ধির ভোট আলাদা করে কাড়ছে নজর।