আর জি করে চিকিত্সক পড়ুয়া ধর্ষণ ও খুন মামলায় তোলপাড় গোটা দেশ। এখনও পর্যন্ত আন্দোলন অনড় জুনিয়র চিকিত্সকেরা। এই সবের মধ্যে এবার শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল এক ডাক্তারের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটে উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফরনগরে।
জানা গিয়েছে, অসুস্থ ছিলেন নির্যাতিতা নাবালিকা। ফলে মায়ের সঙ্গে শহরে আসেন ডাক্তার দেখাতে। অভিযুক্ত ডাক্তার নির্যাতিতার মাকে প্রেসক্রিপশন দেয় এবং তাঁকে মেডিকেল স্টোর থেকে ওষুধ আনতে বলে। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অভিযুক্ত নাবালিকার শ্লীলতাহানি করে। মা ফিরে এলে তাঁকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে শুরু করে নাবালিকা। তারপর সে ঘটনাটি মাকে জানায়।
ঘটনার খবর পেয়ে আশপাশের লোকজন ভিড় জমায়। পুলিসও ঘটনাস্থলে তত্ক্ষণাত্ পৌঁছায়। পুলিস অভিযুক্ত ডাক্তারকে হেফাজতে নিয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত দোকানটিকেও ইতোমধ্যেই সিল করে দিয়েছে পুলিস।
অন্যদিকে, বুধবার উত্তরপ্রদেশের গুজইনিতে কানপুর-দিল্লি জাতীয় সড়কের সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার করা হয় যুবতীর মুণ্ডহীন দেহ। জানা গিয়েছে, এক যুবতীকে ধর্ষণ করে তার মাথা কেটে গায়েব করে দিল। রাস্তার পাশে দেহ পড়ে থাকতে দেখে প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিসকে খবর দেয়। পুলিস দেহটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। ইতিমধ্যে ফরেন্সিক টিম ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করছে। বিষয়টি তদন্ত করতে তিনটি দল গঠন করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিস।
ওই যুবতীর পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিস। প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের তরফে খবর, যুবতীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। পরিচয় প্রকাশ্যে না আনার জন্যই মাথা কেটে অন্য কোথাও ফেলে দেওয়া হয়েছে। আপাতত মহিলার ওই কাটা মাথার খোঁজ শুরু করেছে। পুলিস জানিয়েছে, উদ্ধারের সময় যুবতীর শরীরে কোন পোশাক ছিল না। মহিলা দাঁত এবং হাড়ও ভাঙ্গা ছিল। মৃতদেহের পাশ থেকে কোনও মোবাইল, ব্যাগ বা পরিচয়পত্র কিছুই মেলেনি বলে জানিয়েছে পুলিস। পাশের ঝোপ থেকে ধূসর রঙের ছেঁড়া পোশাকের কয়েকটি টুকরো পাওয়া গিয়েছে। জাতীয় সড়কে সিসিটিভি না থাকায়, কে বা কারা দেহটিকে ওখানে ফেলে রেখে গেল, সেই বিষয়ে কিছুই জানা যায়নি। ঘটনাস্থল থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে একটি হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তদন্তে গতি আনার চেষ্টা করছে পুলিস। ওই ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ওই যুবতীর মতোই ধূসর রঙের পোশাক পরে একজন হেঁটে যাচ্ছে। তবে সেটি ওই মহিলা কিনা তা এখনও অবধি নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিস।