বৃহস্পতিবার থেকে উত্তর প্রদেশে শুরু হয়েছে রাজ্যের দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষা। রাজ্যের ৮,২৬৫ কেন্দ্রে অত্যন্ত কড়া নিরাপত্তায় শুরু হয়েছে পরীক্ষা। টুকলি রুখতে এবার অত্যন্ত কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে যোগী প্রশাসন। আর তার ফল হাতে হাতে পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। দেখা যাচ্ছে পরীক্ষার প্রথম দিনেই হলমুখি হয়নি ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৫৪১ পরীক্ষার্থী। নকল করার জন্য ৭ পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে পুলিসি ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।
উত্তর প্রদেশে বোর্ডের পরীক্ষা টুকলি জালিয়াতির অভিযোগ বহু দিনের। এরজন্য বহু ব্য়বস্থা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু অভিযোগ রয়েই গিয়েছে। শুধুমাত্র মাধ্যমিক, উচ্চনমাধ্যমিক স্তরেই নয়, স্নাতক স্তরেও নকল করার প্রবণতা দেখা গিয়েছে প্রবল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের দাবি, উত্তর প্রদেশকে তিনি উত্তম প্রদেশ করেই ছাড়বেন। তার একটি ধাপ হিসেবে এবার পরীক্ষায় প্রবল কড়াকড়ির ব্যবস্থা করেছেন তিনি। পরীক্ষা কেন্দ্রে মাছি গলার ব্যবস্থা নেই। মোবাইলের তো কথাই নেই। হলে পরীক্ষার্থীদের ঢোকানো হচ্ছে রীতিমতো তল্লাশি করে।
রাজ্যের বোর্ড সেক্রেটারি দিব্যকান্ত শুক্লা জানিয়েছেন, বোর্ডের পরীক্ষার প্রথম দিনে পরীক্ষায় বসার কথা ছিল ৫৪ লাখ ১১ হাজার ৫০১ পরীক্ষার্থীর। এদের মধ্যে পরীক্ষা দিতেই আসেনি ৩,৩৩,৫৪১ পরীক্ষার্থী। এদিন সকাল সাড়ে আটটা থেকে ছিল দশম শ্রেণির হিন্দি, এলিমেন্টারি হিন্দি ও মিলিটারি সায়েন্সের পরীক্ষা। অন্যদিকে, দ্বাদশ শ্রেণির ছিল কমার্স, ইন্টারমিডিয়েট হিন্দি ও জেনারেল হিন্দি। দুই স্তরেই মোট তিন লাখেরও বেশি পরীক্ষার্থী পরীক্ষা থেকে উধাও।
এই প্রথম উত্তরপ্রদেশ সরকার পরীক্ষা নিয়ে প্রবল কড়াকড়ির নির্দেশ দিল। ক্যামেরার সাহায্যে অনলাইন মনিটারিং কার হচ্ছে। এর জন্য খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। পরীক্ষায় যাতে কোনও জালিয়াতি পরীক্ষার্থীরা না করতে পারে তার জন্য ১২৯৭ জন সেক্টর ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। পাশাপাশি নিয়োদ করা হয়েছে ৪৩০ জোনাল ম্য়াজিস্ট্রেট, ৪১৬ মোবাইল টিম, ৭৫ স্টেট লেভেল সুপারভাইজার। রাজ্যের ৮ জেলেও পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। দশম শ্রেনির পরীক্ষা দিচ্ছে ১১৮ কয়েদি। অন্যদিকে দ্বাদশ শ্রেণির কয়েদি রয়েছে ১৩৯ জন।