আপাতত শান্ত রয়েছে অসম-মিজোরাম সীমানা। এই আবহে মিজোরামের উপর থেকে অঘোষিত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলল অসম। উত্তর-পূর্ব ভারতের এই দুই রাজ্য়ের মধ্যবর্তী ৩০৬ নম্বর জাতীয় সড়কে ফের চালু হয়েছে ট্রাক চলাচল। সীমান্ত সস্যার জেরে গত ১০ দিন ধরে মিজোরামে ঢুকতে না পেরে অসমেই আটকে ছিল অত্যাবশ্য পণ্যবাহী বহু ট্রাক।
গত ২৬ জুলাই দুই রাজ্যে পুলিশ এবং সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। যেখানে অসম পুলিশের শীর্ষ আধিকারিক এবং আমলাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছিল মিজোরাম পুলিশের বিরুদ্ধে। যে উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে মিজোরামের সাধারণ নাগরিকরাও জড়িয়ে পড়েছিলেন। ওই ঘটনার পর অসমের কাছাড় জেলায় আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ প্রশাসনের শীর্ষস্তরে এই দুই মহিলা আইপিএস আধিকারিককে বসানো হয়েছে। যার পর থেকে নতুন করে আর কোনও অশান্তির ঘটনা অসম-মিজোরাম সীমানায় ঘটেনি।
দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সীমানা সংক্রান্ত বিবাদের মীমাংসা করতে নির্দেশ দেন অমিত শাহ। এর পর মিজোরামের রাজ্যসভার সাংসদ কে বনলালবেনার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআর প্রত্যাহার করে নেওয়ার নির্দেশ দেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। এরপরই বরফ গলার ইঙ্গিত মেলে। তাছাড়া অসম-মিজোরাম সীমানা সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে অসমের সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।
কোলাসিব এবং কাছাড় সীমানার লাইলাপুরে ২৬ জুলাইয়ের হিংসাত্মক ঘটনায় অসম পুলিশের ৫ জনের মৃত্যু হয়। এক সাধারণ নাগরিকেরও মৃত্যু হয়েছিল। যার পর থেকে দুই রাজ্যের তরফে সীমানায় পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। কাছাড় জেলার দায়িত্ব নিয়ে ডেপুটি কমিশনার কীর্তি জালি এবং পুলিশ সুপার রমনদীপ কৌর-এর যৌথ উদ্যোগে অসম পুলিশ তাঁদের বাহিনী সরিয়ে নেয়। কিন্তু, উল্লেখযোগ্যভাবে মুখে শান্তি বজায় রাখার বার্তা দিলেও অসম সীমানায় মিজো পুলিশের বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। যার জেরে চিপি উত্তেজনা রয়েছে। এদিকে অসমের পুলিশ আধিকারিক প্রতিনিয়ত পুলিশের বাহিনী এবং কমান্ডো বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে লাইলাপুর এবং তার সংলগ্ন এলাকায় পেট্রোলিং চালিয়ে যাচ্ছেন।