মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসতে না পারায় আত্মহত্যার চেষ্টা করলো এক ছাত্র। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কাণ্ড স্কুলে। ছাত্রের ক্ষুব্ধ পরিবার স্কুলে গিয়ে কালি লাগিয়ে দিল প্রধান শিক্ষকের মুখে। আর এই খবর পেয়ে অন্যান্য ছাত্র এবং অভিভাবকরাও চড়াও হলেন শিক্ষকদের উপর। শিক্ষকদের ধাক্কাধাক্কি, মারধর করার অভিযোগ উঠল ছাত্র এবং অভিভাবকদের মধ্যে। সোমবার এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল আগরপাড়ার নেতাজি শিক্ষায়তন স্কুল। ঘটনাস্থলে আগরপাড়া থানার বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির জেরে আত্মহত্যার চেষ্টা করে মাধ্যমিকের ওই পড়ুয়া। তার মায়ের অভিযোগ, ‘জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা মাধ্যমিক। কিন্তু, সেই পরীক্ষাই দিতে পারল না। আমার ছেলের লাইফটা পুরো শেষ হয়ে গেল। যে পরীক্ষা দিয়ে লাইফ শুরু হয় সেটাই দিতে পারল না আমার ছেলে। আমি ছাড়া ওর কেউ নেই। আমি কাজে গিয়েছিলাম সেখান থেকে শুনি ছেলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। আমাকে তো রোজই কাজে যেতে হবে এখন পরীক্ষা দিতে না পেরে আবার যদি ছেলে আত্মহত্যার চেষ্টা করে! তাহলেও কি করব।’ এ ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছেন তিনি। তার অভিযোগ, ‘স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনও দায়িত্বই নেইনি। যার ফলে আজকে এই ঘটনা ঘটল। শিক্ষকরা বলছে নাকি ভুল ছাত্রদের।
প্রসঙ্গত, এবছর ওই স্কুলের ১৩ জন ছাত্র মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে পারেনি। ওই ছাত্রর আত্মহত্যার চেষ্টার খবর শুনে বাকি পড়ুয়া এবং তাদের অভিভাবকরা স্কুলে এসে শিক্ষকদের ওপর চড়াও হন। প্রথমে শিক্ষকদের সঙ্গে পড়ুয়া এবং অভিভাবকদের বচসা বাঁধে। পরে শিক্ষকদের ধাক্কাধাক্কি এমনকি মারধরও করা হয়। অভিভাবকদের পাশাপাশি পড়ুয়ারাও শিক্ষকদের গায়ে হাত তোলে বলে অভিযোগ।