ইউক্রেনের বর্তমান সরকারকে উৎখাতের নির্দেশ দেওয়া হয়নি সামরিক বাহিনীকে। এমনই দাবি করল রাশিয়া। সেইসঙ্গে ক্রেমলিনের তরফে দাবি করা হল, সমস্যা সমাধানে ইউক্রেনের সঙ্গে যে আলোচনা চলছে, তাতে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে।
বুধবার রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা দাবি করেন, ইউক্রেনকে দখল করা বা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নেতৃত্বাধীন সরকারকে ছুড়ে ফেলে দেওয়ার কোনও বাসনা নেই মস্কোর। তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনকে দখল বা ইউক্রেন রাষ্ট্রকে ধ্বংস করা বা সেই দেশের সরকারকে উৎখাত করার’ লক্ষ্য নেই রাশিয়ার সেনার। সেইসঙ্গে তিনি জানান, দু’দেশের মধ্যে যে আলোচনা শুরু হয়েছে, তা কিছুটা অগ্রসর হয়েছে। যে দু’দেশের মধ্যে বেলারুশ-পোল্যান্ড সীমান্তে আলোচনা চলছে।
এমনিতে দুই সপ্তাহ ধরে ইউক্রেনে আক্রমণ জারি রেখেছে রাশিয়া। ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে ইউক্রেন দখলের যে অভিযান রুশ বাহিনী শুরু করেছিল, তা এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে পরিণত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আমেরিকা, ব্রিটেন-সহ পশ্চিমী দেশগুলি ক্রমেই ক্রেমলিনের উপর চাপ বাড়াতে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা জারি করে চলেছে। তবে তাতেও পিছু হটার নাম নেই পুতিনের। বাইরের সাহায্য সেই অর্থে না পেলেও নিজেদের দেশকে রক্ষা করার কঠোর প্রত্যয়ে লড়াই করে চলেছেন ইউক্রেনীয়রা। আর রাশিয়ার রক্তক্ষরণ জারি রয়েছে। এই আবহে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে কড়া বার্তা দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
তাঁর কথায়, ইউক্রেনে কোনও দিনই জয়লাভ করবে না রুশ বাহিনী। বাইডেন লেখেন, ‘এটি ইতিমধ্যেই স্পষ্ট হয়েছে যে ইউক্রেনে পুতিন পক্ষে কখনওই বিজয় লাভ করা সম্ভব হবে না। পুতিন একটি শহর দখল করতে সক্ষম হতে পারেন – তবে তিনি কখনওই গোটা দেশকে নিজের দখলে রাখতে পারবেন না।’