আমেরিকা, ব্রিটেন সহ পশ্চিমী দেশগুলি বারংবার হুঁশিয়ার করেছিল রাশিয়াকে। তবে সেই সব সতর্কবার্তাতে কর্ণপাতই করলেন না রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গতকালই ইউক্রেনে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিযন্ত্রণে থাকা ডোনেত্সক ও লুহানৎসকে স্বাধীন বলে স্বীকৃতি দিয়েছে রাশিয়া। আর এরপরই ডোনেত্সাকের সড়কে দেখা মিলল ট্যাঙ্কের।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের এক সাংবাদিক দাবি করেন যে তিনি অন্তত সাতটি ট্যাঙ্ক দেখেছেন ডোনেত্সলক। যদিও এই ট্যাঙ্ক কোন দেশের বা কোন পক্ষের, তা জানা যায়নি। রয়টার্সের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ট্যাঙ্কগুলির গায়ে কোনও লোগো ছিল না যা থেকে বোঝা যাবে যে এগুলি ইউক্রেন সেনার নাকি রাশিয়ার নাকি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
এদিকে গতকালই ক্রেমলিনে বসে ডোনেত্সদক এবং লুহানৎসকের ‘বিদ্রোহী’ নেতাদের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতা এবং বন্ধুত্বের চুক্তি স্বাক্ষর করছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। পুতিন অভিযোগ করেন, পূর্ব ইউক্রেনে অভিযান চালানোর চেষ্টা করছে ইউক্রেন। সেই পরিস্থিতিতে অবিলম্বে কিয়েভকে মস্কোপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ বন্ধ করতে বলেন পুতিন। পরোক্ষভাবে তিনি যুদ্ধের হুঁশিয়ারিও দেন।
এর আগে গতকাল ইউক্রেন সীমান্ত পেরিয়ে আসা পাঁচ ‘অন্তর্ঘাতকারী’-কে হত্যা করার দাবি জানায় রাশিয়ার সেনা। এদিকে রবিবারই বেলারুশ ঘোষণা করে যে রাশিয়া তাদের দেশে সামরিক মহড়ার মেয়াদ বাড়াচ্ছে। এরপরই বিভিন্ন উপগ্রহ চিত্রে দেখা যায় ইউক্রেন সীমান্তে আরও বেশি সংখ্যক অস্ত্র, জওয়ান মোতায়েন করেছে রাশিয়া। এদিকে পূর্ব ইউক্রেনের দনবাসের থেকে বিস্ফোরণের খবর আসতে থাকে। রাশিয়াপন্থী বিদ্রোহীরা দাবি করে ইউক্রেনের সেনা তাদের উপর হামলা চালাচ্ছে। যদিও পশ্চিমা দেশগুলির দাবি, এই সবটাই রাশিয়ার প্রচার। যুদ্ধের পক্ষে ‘যুক্তি’ সাজানোর প্রেক্ষাপট হিসেবে এই ঘটনাগুলিকে সাজানো হচ্ছে। আর এরই মাঝে গতকাল দুই বিচ্ছিন্নতাবাদী অঞ্চলকে স্বাধীন ঘোষণা করেন রাশিয়া।