মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীতে কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় অবশেষে ধরপাকড় পুলিসের। এক অটোচালককে গ্রেফতার করেছে পুলিস। অটোর পিছনের আসনে পাওয়া গিয়েছে রক্তের দাগ। তার ভিত্তিতেই ওই অটোচালককে গ্রেফতার করেছে পুলিস। সেইসঙ্গে আরও ৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে খবর পুলিস সূত্রে।
পুলিস জানিয়েছে, দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পরই গ্রেফতার করা হয়েছে ওই অটোচালককে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই নিন্দার ঝড় উঠেছে দেশ জুড়ে। অভিযোগ, ১২ বছরের ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়। ধর্ষণের পর আড়াই ঘণ্টা অর্ধনগ্ন অবস্থায় রাস্তায় হাঁটে ওই কিশোরী! রক্তক্ষরণ হচ্ছিল তার। সেই অবস্থাতেই ৮ কিলোমিটার হাঁটে সে। অভিযোগ, তার এই করুণ অবস্থা দেখেও কেউ সাহায্যে এগিয়ে আসেনি। যদিও পুলিস দাবি করেছে, ওই তরুণীকে যখন উদ্ধার করা হয়, তখন তার কাছে ১২০ টাকা পাওয়া যায়। স্থানীয় বাসিন্দারাই ওই কিশোরীকে ৫০ টাকা, ১০০ টাকা দেয়।
যদিও পুলিসের এই দাবি স্থানীয়দের উদাসীন ব্যবহারকে লঘু করতে পারে না! কারণ সেই সময় ওই কিশোরীর টাকার থেকেও বেশি প্রয়োজন ছিল লজ্জা নিবারণের জন্য কাপড়ের। চিকিৎসা ও শুশ্রূষার। শেষে এক আশ্রমের পুরোহিত ওই কিশোরীকে নিজের গা থেকে তোয়ালে খুলে দেন। জানা গিয়েছে, ওই অবস্থায় আড়াই ঘণ্টা ৮ কিলোমিটার পথ হাঁটার পর অজ্ঞান হয়ে যায় ওই কিশোরী। উজ্জয়িনের পুলিস প্রধান শচীন শর্মা আগেই জানিয়েছেন, এই ঘটনায় একটি স্পেশাল ইনভেসটিগেশন টিম গঠন করা হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনায় পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় মহাকাল থানার অন্তর্গত বদনগর রোডের ডান্ডি আশ্রমের কাছে ওই কিশোরীকে গুরুতর জখম অবস্থায় পাওয়া যায়। ওই কিশোরীর জামাকাপড় ছিন্নভিন্ন ছিল। শরীরে রক্তের দাগ ছিল। প্রচুর রক্তপাত হয়েছিল। বর্তমানে ইন্দোর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই কিশোরী। এখনও মানসিকভাবে বিধ্বস্ত সে। ট্রমার মধ্যে রয়েছে। এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ডিসিডব্লিউ প্রধান স্বাতী মালিওয়াল। এই ঘটনার জন্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।