বিতর্কের মুখে আধার কার্ড সংক্রান্ত অ্যাডভাইসরি প্রত্যাহার করে নিল কেন্দ্র। যে অ্যাডভাইসরিতে লাইসেন্সহীন বেসরকারি সংস্থার কাছে আধার কার্ডের ফোটোকপি জমা না দেওয়ার পরামর্শ দেওযা হয়েছিল।
রবিবার কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, ইউআইডিএআইয়ের (ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া) বেঙ্গালুরু আঞ্চলিক অফিসের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। জানা গিয়েছে যে ফোটোশপ করা আধার কার্ড ব্যবহার করার চেষ্টা করা হয়েছিল। সেই প্রেক্ষিতে অপব্যবহার রুখতে কোনও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের (লাইসেন্সহীন প্রতিষ্ঠান) কাছে আধার কার্ডের ফোটোকপি জমা না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল। সঙ্গে ‘মাস্কড’ আধার কার্ড ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তবে সেই পরামর্শের ফলে যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল, তা বিবেচনা করে সেই বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে।
গত শুক্রবার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছিল, যে সংস্থাগুলি ইউআইডিএআইয়ের থেকে লাইসেন্স নিয়েছে, সেই সংস্থাগুলি কোনও ব্যক্তির পরিচয় প্রমাণের জন্য আধার কার্ড ব্যবহার করতে পারে। হোটেল, সিনেমা হলের মতো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি আধার কার্ডের ফোটোকপি সংগ্রহ করতে বা রাখতে পারবে না। ২০১৬ সালের আধার আইনের আওতায় সেটা অপরাধ বলে বিবেচিত হয়। যদি কোনও বেসরকারি সংস্থা আধার কার্ডের ফোটোকপি চায়, তাহলে ওই সংস্থার কাছে ইউআইডিএআইয়ের লাইসেন্স আছে কিনা, দেখে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।
যদিও সেই পরামর্শ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। হায়দরাবাদের সাংসদ আসাউদ্দিন ওয়েইসি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আধার কার্ড বাধ্যতামূলক করে রেখেছে সরকারি সংস্থাগুলি। এখন তারা আশা করছে যে কোনও একটা সরকারি বিজ্ঞপ্তি নিয়ে আমজনতা তর্ক-বিতর্ক করবেন এবং গুরত্বপূর্ণ পরিষেবা হাতছাড়া হওয়ার ঝুঁকি নেবেন। ভুলে গেলে চলবে না যে আধার কার্ডের ছুতোয় উত্তেজিত জনতা (মানুষকে) হেনস্থা করেছে এং খুন করেছে। আধার কার্ড না থাকায় মধ্যপ্রদেশের দেওয়াসে এক মুসলিম ব্যবসায়ীকে মারধর করা হয়েছে।
রবিবার অবশ্য নয়া বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আধার কার্ডের নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রে চোখ-কান খোলা রাখার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র। আধার কার্ডধারীদের গোপনীয়তা সুরক্ষিত রাখার মতো যথেষ্ট ব্যবস্থা আছে বলে দাবি করা হয়েছে।