পুরীর সমুদ্রে অঘটন। হাওড়ার ২ পর্যটকের মৃত্যু হল সমুদ্রে স্নান করতে গিয়ে। আরও এক পর্যটককে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা গিয়েছে। তিনি পুরীর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
হাওড়া থেকে একই পরিবারের ৫ জন পুরী ঘুরতে গিয়েছিলেন। বুধবার পুরীর স্বর্গদ্বারের কাছে সেক্টর ১৩ এলাকায় সমুদ্রে স্নান করতে নেমেছিলেন তাঁরা। ৩ জন ঢেউয়ের ধাক্কায় তলিয়ে যান। স্থানীয়েরা সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধারকাজে হাত লাগান। ১ জনকে তৎক্ষণাৎ জল থেকে টেনে তোলা হয়। তবে বাকি ২ জনকে তুলতে কিছুটা সময় লেগেছিল। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
মৃতেরা হলেন রঞ্জন দাস (৫২) এবং তাঁর ছেলে ঋষভ দাস (১৬)। হাওড়া থেকে গত ১ মে পুরীর উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন তাঁরা। রঞ্জন এবং ঋষভ ছাড়াও ছিলেন রঞ্জনের স্ত্রী, ভাগ্নে এবং তাঁর মা। ভাগ্নে সায়ন মাইতিও সমুদ্রের জলে তলিয়ে গিয়েছিলেন, তবে তাঁকে উদ্ধার করা গিয়েছে।
পুরীর এই পর্যটকেরা সকলেই হাওড়ার শিবপুর থানার অন্তর্গত ১ নম্বর আচার্য পাড়া লেনের বাসিন্দা। বুধবার ২ জনের মৃত্যু খবর বাড়িতে এসে পৌঁছলে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
ইদানীং অনেকেই পাহাড়ে বা সমুদ্রে বেড়াতে যাচ্ছেন। পুরীর সমুদ্রেও ভিড় লেগেই আছে। হোটেলগুলিতে পর্যটকদের ভিড় চোখে পড়ার মতো। যার মধ্যে বেশির ভাগই নিকটবর্তী পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। বেড়ানোর আবহে এই মর্মান্তিক দুঃসংবাদ পৌঁছল হাওড়ায়।