খড়্গপুরে অ্যানিকেট ড্যামে তলিয়ে প্রাণ গেল নবম শ্রেণির দুই ছাত্রের। রবিবার টিউশন যাওয়ার নাম করে মায়ের স্কুটি নিয়ে বেরিয়েছিল খড়্গপুর শহরের ইন্দা নিউট্রাফিক এলাকার রেল কলোনির বাসিন্দা খড়্গপুর কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় ২ এর নবম শ্রেণির ছাত্র তিন বন্ধু আরিয়ান পাশোয়ান ও তার মামার ছেলে পিযুষ পাশোয়ান ও তাদের বন্ধু আর্য বেরা। আরিয়ানের বাবা নেই, মা ঊষা পাশোয়ান রেল কর্মী। পীযূষের বাবা রাজেশ পাশোয়ান রেল কর্মী। রবিবার সকাল সাড়ে দশটার সময় তারা টিউশন যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরোয়। এরপর তিন বন্ধু খড়্গপুর মেদিনীপুর শহরের সংযোগস্থল মোহনপুরের কংসাবতী সেতুর নিচে অ্যানিকট ড্যামে গিয়ে প্রথমে আরিয়ান নেমে পড়ে। সাঁতার না জানা সত্ত্বেও ওই খরস্রোতা ড্যামে আরিয়ানকে তলিয়ে যেতে দেখে তাকে উদ্ধার করতে তার মামাতো ভাই পীযূষ ড্যামে ঝাঁপ দেয়। সেই সময় দুই বন্ধুকে ড্যামে তলিয়ে যেতে দেখে আর্য বেরা জোর চিৎকার করে কান্নাকাটি করতে থাকে এবং সেও ওই ড্যামে ঝাঁপ দিতে যায়। এরপর তাকে স্থানীয় বাসিন্দারা আটকে দেয়।
এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা ড্যামে নেমে নবম শ্রেণির দুই ছাত্রের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কোতোয়ালি থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় রবিবার দুপুর বারোটার সময় ড্যাম থেকে আরিয়ান ও পীযূষের নিথর দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে পাঠায় কোতোয়ালি থানার পুলিশ। মর্মান্তিক ওই ঘটনায় গোটা এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে।
খবর পেয়ে তাদের পরিবারের লোকেরা ঘটনাস্থলে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন। কোতোয়ালি থানার পুলিশ মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তের পর তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেয়। সেই সঙ্গে কিভাবে ওই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে তা খতিয়ে দেখার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্তের কাজ শুরু করা হয়েছে।