চন্দ্রযান-৩-এর সাফল্যের পর এ বার ইসরো পরবর্তী পর্যায় নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে। তোড়জোড় শুরু হয়েছে চন্দ্রযান-৪ অভিযানের। ইতিমধ্যেই ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জানিয়ে দিয়েছে, চন্দ্রযান-৪ দু’টি ধাপে উৎক্ষেপণ করা হবে। ওই অভিযানের লক্ষ্যগুলিও স্পষ্ট করেছে ইসরো।
চন্দ্রযান-৪-এর অভিযান সফল হলে আমেরিকা, রাশিয়া এবং চিনকে টেক্কা দেবে ইসরো। ওই দেশগুলি ইতিমধ্যে যে কাজ করেছে, তা ভারতও করে দেখাতে চলেছে। ইসরো প্রধান এস সোমনাথ সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন, চন্দ্রযান-৪-এর মাধ্যমে শুধু চাঁদের মাটিতে অবতরণই নয়, ইসরো সেখান থেকে মাটি এবং পাথরের নমুনা সংগ্রহ করে দেশে নিয়ে আসতে চায়। সেই পরিকল্পনাই করা হচ্ছে।
এখনও পর্যন্ত এই কাজ করতে পেরেছে তিনটি দেশ। আমেরিকা তার অ্যাপোলো অভিযানে, সোভিয়েত ইউনিয়ন তার লুনা অভিযানে এবং চিন তার চ্যাং অভিযানের মাধ্যমে এই কাজ করে দেখিয়েছে। ইসরোর চন্দ্রযান-৪ অভিযান সফল হলে ভারতও চতুর্থ দেশ হিসাবে ওই স্বীকৃতির অধিকারী হবে।
চন্দ্রযান সিরিজের চতুর্থ অভিযানটিতে যে যে লক্ষ্য সামনে রেখে ইসরো এগোচ্ছে, সেগুলি হল—
- চাঁদের মাটিতে নিরাপদ, সুরক্ষিত, ‘সফ্ট ল্যান্ডিং’ (পাখির পালকের মতো অবতরণ)।
- চাঁদের মাটির নমুনা সংগ্রহ করা এবং তা সংরক্ষণ করা।
- চাঁদের মাটিতে ঘুরে বেড়ানো।
- একটি মডিউল থেকে অন্য মডিউলে চাঁদের মাটির নমুনা পাঠানো।
- চাঁদ থেকে নমুনা সঙ্গে নিয়ে আবার পৃথিবীর কক্ষপথে প্রবেশ করা।
চন্দ্রযান-৪ এর আগের চন্দ্র অভিযানগুলির চেয়ে অনেক জটিল এবং কঠিন হতে চলেছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। এই অভিযানের দু’টি ধাপে দু’টি ভিন্ন লঞ্চ ভেহিক্ল ব্যবহার করা হবে। প্রথম ক্ষেত্রে কাজে লাগবে এলভিএম-৩ এবং দ্বিতীয় ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে পিএসএলভি। চন্দ্রযান-৪-এ পাঁচটি আলাদা আলাদা মহাকাশযান থাকবে বলে জানা গিয়েছে। সেগুলির প্রত্যেকটির আলাদা কাজ থাকবে। আলাদা ভাবেই সেগুলি উৎক্ষেপণ করা হবে। তবে এখনও পর্যন্ত ইসরোর তরফে এই উৎক্ষেপণের কোনও দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়নি।