রাতের দিঘা-খড়্গপুর-ওড়িশা ট্রাঙ্ক রোডে নিয়ন্ত্রণহীন গাড়ির ধাক্কা প্রাণ কাড়ল এক পুলিশ আধিকারিক-সহ দু’জনের। শুক্রবার রাত একটা নাগাদ খড়্গপুর গ্রামীণের বেনাপুর রেলগেটের কাছে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আরও ৪জন জখম হয়েছেন।
এ দিন দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে খড়্গপুর গ্রামীণ থানার অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর রামানন্দ দে(৪৫) নামে ওই পুলিশ আধিকারিকের। তাঁর বাড়ি বাঁকুড়ার তালডাংড়ায়। এছাড়াও দুর্ঘটনায় প্রাণ গিয়েছে শেখ জাহাঙ্গীর খান(৩৫) নামে দুর্ঘটনাগ্রস্থ গাড়ির এক সওয়ারির। পেশায় ডেকোরেটর ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর খড়্গপুর শহরের পাঁচবেড়িয়ার বাসিন্দা। জাহাঙ্গীরের সঙ্গী ওই গাড়ির সওয়ারি ইন্দার অভিষেক শ্রীবাস্তব, সুজিত রায়, ঝাপেটাপুরের প্রদীপ দাস ও পুরাতন বাজারের চন্দনকুমার দাস ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছে। জখম ও মৃতদের উদ্ধার করে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাতে বেনাপুর রেলগেটের কাছে টহলরত পুলিশের ভ্যান থেকে নেমে ওড়িশা ট্রাঙ্ক রোডে দাঁড়িয়েছিলেন কর্তব্যরত রামানন্দ দে৷ গাড়িতে ছিলেন অন্য পুলিশ কর্মীরা। সেই সময় খড়্গপুর অভিমুখে থাকা একটি গাড়ি দ্রুতগতিতে এসে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা ওই পুলিশ আধিকারিককে ধাক্কা মারে। ছিটকে যান রামানন্দ। এর পরেই গাড়িটি রেলগেটের সিগন্যাল পোস্টে ধাক্কা মেরে বাঁ-দিকে থাকা একটি ঝুপড়ি চা-দোকানে ঢুকে যায়। ভয়ঙ্কর এই দুর্ঘটনার সাক্ষী পুলিশ কর্মীরা দ্রুত ছুটে এসে রামানন্দকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। এর পরে দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া গাড়ি থেকে জখমদের বের করতে চলে উদ্ধার কাজ। ছুটে আসে স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয়দের সহযোগিতায় একে-একে গাড়ি থেকে পাঁচজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই রামানন্দ ও জাহাঙ্গীরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
জানা গিয়েছে, মকরামপুরের একটি ধাবায় খাওয়াদাওয়া করে গাড়িতে ফিরছিলেন জাহাঙ্গীর ও তাঁর সঙ্গীরা। মৃতদেহগুলি আপাতত খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে।