দিল্লির দূষণ পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের উপর বিরক্ত সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলাকালীন ভারতের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা দিল্লিতে বাজি পোড়ানো নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, ‘কিছু দায়িত্ব নিজেদেরকেও নিতে হবে এবং বিচার ব্যবস্থার আদেশে সবকিছু করা যায় না।’
এদিন প্রধান বিচারপতি জিজ্ঞাসা করেন কেন দীপাবলির ১০ দিন পরও বাজি পোড়ানো হয়েছিল দিল্লিতে? এদিকে কৃষকদের খড় পোঁড়ানো প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘দিল্লিতে পাঁচ/সাত তারা হোটেলে বসে লোকেরা সমালোচনা করে যে তারা কীভাবে দূষণের মাত্র চার, ৩০ বা ৪০ শতাংশ অবদান রাখে। আপনি কি তাদের (কৃষকদের) জমি প্রতি আয় দেখেছেন? নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও বাজি পোড়ানোর বিষয়টি আমরা উপেক্ষা করছি কী করে?’
এদিকে কেন্দ্রের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেওয়া সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা এদিন আদালতে বলেন, ‘এনসিআর-এর সমস্ত সরকারকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত চারটি অব্যাহতিপ্রাপ্ত বিভাগ ছাড়া বাকি সব নির্মাণ কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা জারি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কমিশন দিনে অন্তত তিনবার ঝুঁকিপূর্ণ হটস্পটে স্মগ টাওয়ার, স্প্রিংকলার এবং ধুলো দমনকারী ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছে।’
তুষার মেহতা আদালতকে আরও জানান যে কমিশন এনসিআর-এর অধীনে থাকা এলাকাগুলিকে জরুরি পরিষেবা ছাড়া অন্য ক্ষেত্রে ডিজেল জেনারেটর সেটের ব্যবহার কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। এছাড়াও, অননুমোদিত জ্বালানি ব্যবহার করা শিল্পগুলি অবিলম্বে বন্ধ করা এবং গ্যাস সংযোগ রয়েছে এমন শিল্পগুলিকে অবিলম্বে সিএনজিতে স্থানান্তরিত করার কথাও বলেছেন সলিসিটর জেনারেল।