জম্মু ও শ্রীনগর জাতীয় সড়কে ভেঙে পড়ল নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গের একাংশ। ধ্বংসস্তূপের নীচে প্রায় ১৩ জন শ্রমিক আটকে পড়েন। প্রাথমিকভাবে তিনজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। যাঁরা এখনও আটকে আছেন, তাঁদের মধ্যে পাঁচজন পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা।
জম্মু ও কাশ্মীরের রাম্বান জেলায় খোনি নালার কাছে সুড়ঙ্গের অডিট চলছিল। রাত ১০ টা ১৫ মিনিট নাগাদ সুড়ঙ্গের একাংশ ভেঙে পড়ে। পানথিহালের ধসপ্রবণ এলাকা এড়ানোর জন্য ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর যে সুড়ঙ্গ তৈরি করা হচ্ছে। ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে পড়েন ১৩ জন শ্রমিক। রাতেই শুরু হয় উদ্ধারকাজ। পাথর ভাঙার মেশিন ব্যবহার করে উদ্ধারকাজ চলছে। তবে মাঝমধ্যেই পাথর পড়তে থাকায় উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে।
আধিকারিকদের উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়া শ্রমিকদের পাঁচজন পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। তাঁরা হলেন- যাদব রায় (২৩), গৌতম রায় (২২), সুধীর রায় (৩১), দীপক রায় (৩৮) এবং পরিমল রায় (৩৮)। এছাড়াও অসমের একজন, জম্মু ও কাশ্মীরের দু’জন এবং নেপালের দু’জন নাগরিক ধ্বংসস্তূপে আটকে আছেন।
সেই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং। সুড়ঙ্গের একাংশ ভেঙে পড়ার ঘটনাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ‘(রাম্বানের) ডেপুটি কমিশনার মুসরাত ইসলামের সঙ্গে লাগাতার যোগাযোগ রেখে যাচ্ছি। ধ্বংসস্তূপের নীচে প্রায় ১০ জন শ্রমিক আটকে আছেন। দু’জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। আহত হওয়ায় তাঁদের হাসপাতালে ভরতি করা হয়। পুরোদমে উদ্ধারকাজ চলছে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে স্থানীয় প্রশাসন এবং পুলিশ।’