বিশ্বের সব দেশের ক্রিকেটাররা আইপিএল খেলতে ছুটছেন। কিন্তু অনেক বিদেশি লিগে সে রকম আগ্রহ দেখাচ্ছেন না তাঁরা। তালিকায় অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশও রয়েছে। কারণটা কী? একটা বড় কারণ অবশ্যই টাকা। আইপিএলে একটি মরসুম খেলে বিদেশি ক্রিকেটাররা যে টাকা পান তার ধারেকাছেও যেতে পারে না বিদেশি লিগ। টাকার অঙ্কে এ বার আইপিএলের সঙ্গে লড়াই করতে চাইছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। তাই বিগ ব্যাশে খেলা ক্রিকেটারদের টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
বিগ ব্যাশের ১৩তম মরসুমে ক্রিকেটারদের বেতন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বার থেকে প্রতিযোগিতায় সব থেকে বেশি টাকা নেওয়া ক্রিকেটার পাবেন প্রায় আড়াই কোটি টাকা। আগে যা পেতেন তার থেকে ২৩.৫ শতাংশ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
বিগ ব্যাশে খেলা আটটি ফ্র্যাঞ্চাইজিতে অন্তত ৬ জন করে বিদেশি ক্রিকেটার খেলেন। তাঁরা প্রত্যেকেই অন্তত ১ কোটি টাকার উপরে পাবেন। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি দল গঠন করতে সব মিলিয়ে ১৬ কোটি টাকা খরচ করতে পারবে। আগে তাদের হাতে থাকত ১০ কোটি টাকা। এ বার থেকে ক্রিকেটার কিনতে আরও ৬ কোটি টাকা বেশি খরচ করতে পারবে তারা।
বিগ ব্যাশের জেনারেল ম্যানেজার অ্যালিস্টার হবসন বলেছেন, ‘‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটাররা এখন থেকে বেশি টাকা পাবে। আশা করছি, তারা বিগ ব্যাশ খেলতে আরও বেশি আগ্রহ দেখাবে। অনেক বেশি ক্রিকেটার এই প্রতিযোগিতা খেলতে আগ্রহ দেখাবে।’’
টাকার অঙ্ক বাড়ালেও এখনও আইপিএলের থেকে অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে বিগ ব্যাশ। এই প্রতিযোগিতায় একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি মোট যত টাকা খরচ করতে পারবে আইপিএলে তার থেকে বেশি টাকা পান নিলামের সব থেকে দামি ক্রিকেটার। আইপিএলে প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজির হাতে থাকে ৯০ কোটি টাকা যা বিগ ব্যাশের একটি ফ্র্যাঞ্চাইজির হাতে থাকা টাকার প্রায় ৬ গুণ।