দু’দিনের ব্রিটেন সফরে লন্ডনে পৌঁছেই রাজা তৃতীয় চার্লস-সহ রাজ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। উইন্ডসর প্রাসাদে রাজকীয় সংবর্ধনার পরে স্ত্রী মেলানিয়াকে সঙ্গে নিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে গেলেন প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সমাধিতেও।
বুধবার (স্থানীয় সময় অনুযায়ী মঙ্গলবার গভীর রাত) লন্ডনের স্ট্যানস্টেড বিমানবন্দরে ট্রাম্প এবং ফার্স্ট লেডি মেলানিয়াকে নিয়ে অবতরণ করে মার্কিন বিমানবাহিনীর ‘এয়ার ফোর্স ওয়ান’। প্রসঙ্গত, এটি ব্রিটেনে তাঁর দ্বিতীয় রাষ্ট্রীয় সফর। এর আগে কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই নজির নেই। বুধবার ঘোড়ায় টানা রাজকীয় গাড়িতে চড়ে উইন্ডসরে চার্লসের আতিথেয়তা গ্রহণ করতে যান ট্রাম্প। সেখানে তাঁকে অভিবাদন জানায়, রয়্যাল গার্ডস বাহিনী। রাজার প্রাসাদে নৈশভোজেও অংশগ্রহণ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
দু’দিনের ব্রিটেন সফরে চেকার্সে প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মারের সঙ্গে বৈঠক করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেখানে বাণিজ্য, নিরাপত্তা, ভূরাজনীতি নিয়ে আলোচনা হবে। কথা হতে পারে পশ্চিম এশিয়া এবং ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়েও। সরকারি সফরে ব্রিটেনে এলেও স্টার্মার সরকারের আতিথ্য গ্রহণ করেননি ট্রাম্প। স্ত্রীকে নিয়ে তিনি রয়েছেন মধ্য লন্ডনে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসভবন উইনফিল্ড হাউসে। বুধবার ট্রাম্প সমাজমাধ্যমে ব্রিটেনের প্রতি তাঁর অনুরাগের কথা জানিয়ে লিখেছেন, ‘‘এখানে এমন অনেক কিছু আছে যা আমার হৃদয়কে উষ্ণ করে তোলে।’’ স্কটল্যান্ডের টার্নবেরি এবং অ্যাবারডিনের প্রতি ভালোবাসার কথাও জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ট্রাম্প লন্ডনে পৌঁছোনোর আগেই মার্কিন রাজস্বসচিব স্কট বেসেন্ট এবং ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী র্যাচেল রিভস দু’দেশের মধ্যে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক চুক্তির কাজ এগিয়ে রেখেছেন। দু’দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করতে একটি ‘ট্রান্স-আটলান্টিক টাস্কফোর্স’ গঠনের কথাও ঘোষণা করা হয়েছে। স্টার্মারের ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের দফতর থেকেও বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ‘‘ব্রিটেন-আমেরিকার সম্পর্ক বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী সম্পর্ক। এর নেপথ্যে গত ২৫০ বছরের ইতিহাস রয়েছে। এ হেন দেশে ট্রাম্পের সাম্প্রতিক সফর ট্রান্স-আটলান্টিক সহযোগিতাকে আরও জোরদার করবে।’’