একটি ভাইরাল ভিডিওকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে পুরুলিয়ার রাজনৈতিক মহলে। যদিও এর সত্যতা নিশ্চিত করেনি ‘আমাদের ভারত’। ভিডিওতে আপাতভাবে দেখা যাচ্ছে পুরুলিয়ার বিদায়ী সভাধিপতি তৃণমূলের সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় পঞ্চাশটি ভোট তাঁর লোকেরা দেবেন বলে কোনও ভোটকর্মীকে বলছেন। এটি ছাপ্পা দেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। বিরোধী নেতারা এই দাবি করেছেন।
পুঞ্চার ২৮ নং জেলা পরিষদের আসন থেকে এবার লড়ছেন সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, সেখানেই একটি বুথে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। ভাইরাল ভিডিওটি এডিটেড এই দাবি করে সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিকেল পাঁচটার সময় টোকেন স্লিপ দেবার নিয়ম হলেও তাদের অনেককে তা দেওয়া হয়নি। সময়ের আগেই ভোট বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিজেপির লোকেরা বুথের ভেতরে রয়েছেন। এই বিষয়টি জানতে কতগুলি স্লিপ ইস্যু করেছে তা জানতে চান তিনি। যদি বিরোধীরা চান তবে তারা পুনর্নিবাচন দাবি করতে পারেন বলে জানান সুজয়বাবু।
ভোটের ঠিক পরদিনই পুরুলিয়া জেলা পরিষদের ২৮ নম্বর আসনের তৃণমূল প্রার্থী সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওই ভিডিও ভাইরাল হয়। ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে তাঁকে রীতিমতো হুমকি দিতে দেখা গিয়েছে। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে সুজয়বাবু বলছেন, “৫০টা ভোট আমাদের ছেলেরা দেবে। আপনি চুপচাপ থাকুন।” সম্ভবত প্রিসাইডিং অফিসারকে এই হুমকি দিয়েছেন বলেই দাবি বিরোধীদের। যদিও হুমকি দেননি বলেই দাবি সুজয়বাবুর। তাঁর সাফাই, “আমি প্রার্থী। আমার কাছে খবর আসে যাঁরা স্লিপ চাইছেন, তাঁদের দেওয়া হচ্ছে না। আমার কাছে যখন খবর আসে, তখন অনেক দূরে। গিয়ে শুনি ৫টা বাজার আগেই ভোট বন্ধ হয়ে যায়। বিজেপি ও সিপিএমের ছেলেরা বুথের ভিতরে বসে ভোট পরিচালনা করছে। সেটা দেখার পর আমি জিজ্ঞেস করলাম ভোট কতক্ষণ? কতগুলি স্লিপ ইস্যু করেছেন? অপপ্রচারের জন্য ভাইরাল করেছে ভিডিওটি।” ভাইরাল ভিডিও নিয়ে চাপানউতোর শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে।
বিজেপির জেলা সভাপতি বিবেক রাঙ্গা বলেন, “তৃণমূল নেতারা বুথে বুথে ছাপ্পা দিয়েছেন। বিদায়ী সভাধিপতি হেরে যাবেন বলেই বুথে দলবল নিয়ে ছাপ্পা দেন।”
সিপিএমের জেলা সম্পাদক তথা বামফ্রন্টের জেলা আহ্বায়ক প্রদীপ রায়েরও অভিযোগ একই রকম। তিনি বলেন, “একে শান্তির ভোট কোনোভাবেই বলতে পারব না।”
এদিকে, এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি, সিপিএম সহ বিরোধীরা। পুঞ্চা থানার সামনে কুশপুতুল পোড়ান তাঁরা।