‘‌তোলা’‌য় না, মারধর ইঞ্জিনিয়ার দম্পতিকে ফলতায়, তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ

ফলতায় এক ইঞ্জিনিয়ার এবং তাঁর স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল। তাঁদের অপরাধ তোলার টাকা দিতে অস্বীকার করা। এই অভিযোগ উঠেছে খোদ তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। ফলতায় এক নার্সারি রয়েছে। সেখানের জমিতে মাটি ফেলাকে কেন্দ্র করেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। এখানে মাটি ফেলার জন্য স্থানীয় ইঞ্জিনিয়ারের কাছ থেকে দু’লক্ষ টাকা চেয়েছিলেন স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত প্রধান। কিন্তু সেই ইঞ্জিনিয়ার টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাঁকে এবং তাঁর স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান।

ঠিক কী ঘটেছে ফলতায়?‌ স্থানীয় সূত্রে খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতায় ইঞ্জিনিয়ার কুন্তল মজুমদারের বাড়ির কাছেই একটি নার্সারি রয়েছে। কুন্তলবাবুর অভিযোগ, সেই জমিতে মাটি ফেলার জন্য ২০২১ সালে ৫০ হাজার টাকা চান দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সনাতন প্রামাণিক। তখন টাকা দেওয়ার অবস্থা না থাকায় অপরাগতার কথা জানানো হয়।

তারপর ঠিক কী ঘটল?‌ এই বিষয়ে কুন্তলবাবুর আরও অভিযোগ, তখনকার মতো বিষয়টি থিতিয়ে যায়। এরপর ২০২২ সালের ১৯ মার্চ সেই জমিতে মাটি ফেলার কাজ শুরু করা হয়। এই কাজ শুরু করতেই তাঁর কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়। এই এতো টাকা দিতে অস্বীকার করেন তিনি। তখন তাঁকে হুমকি দেন সনাতন প্রামাণিক।

দু’‌প‌ক্ষের মধ্যে মারামারি কখন হল?‌ এই হুমকি পাওয়ার পরই প্রতিবাদ করেন ইঞ্জিনিয়ার দম্পতি। তাতে দু’‌পক্ষের মধ্যে বচসা বাধে। আর তখনই ওই জমিতে ফেলে তাঁকে বাঁশ দিয়ে মারা হয় বলে কুন্তল মজুমদারের অভিযোগ। স্বামীকে বাঁচাতে গেলে স্ত্রী জুলি মজুমদারকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হলে ঘটনাস্থলে আসেন অফিসাররা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.