উপনির্বাচন নিয়ে চিঠি ও তথ্য দিতে চলেছে তৃণমূল, সাত কেন্দ্রে তলানিতে করোনা

সময় হাতে কমে আসছে। অথচ উপনির্বাচন নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করছে না নির্বাচন কমিশন। তাহলে কী যশবন্ত সিনহার কথাই সত্যি হতে চলেছে?‌ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিপাকে ফেলতেই গড়িমসি করা হচ্ছে!‌ এবার এই ইস্যুতে তেড়েফুঁড়ে নামতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। নভেম্বর মাসের মধ্যে রাজ্যের সাত কেন্দ্রে উপনির্বাচন করার কথা। কিন্তু তা নিয়ে কিছু জানানো হচ্ছে না। আর এই কেন্দ্রগুলি এখন কোভিড শূন্য। এই তথ্য দিয়ে এবার নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লিখে তা জানাতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। উপনির্বাচন করার ক্ষেত্রে করোনাভাইরাস যে আর বাধা নয় তা উল্লেখ করবে তৃণমূল কংগ্রেস বলে জানিয়েছেন রাজ্যসভার মুখ্য সচেতক সুখেন্দুশেখর রায়।

এদিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাংলা–সহ পাঁচ রাজ্যের বিভিন্ন কেন্দ্রের উপনির্বাচন এবং বিধানসভা নির্বাচন কীভাবে সম্ভব? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে রাজনৈতিক দলগুলির কাছে মতামত চেয়েছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ৩০ অগস্টের মধ্যে নিজেদের মতামত জানাতে হবে। সেখানেই এই তথ্য তুলে ধরা হবে। সুখেন্দুশেখর রায় জানান, তৃণমূল কংগ্রেসের মতামত যথাসময়ে জানিয়ে দেওয়া হবে।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ

অন্যদিকে সূত্রের খবর, রাজ্যের সাত কেন্দ্রে (ভবানীপুর, খড়দহ, গোসাবা, শান্তিপুর, জঙ্গিপুর, সামশেরগঞ্জ, দিনহাটা) নির্বাচন বাকি। আর এই বিধানসভা কেন্দ্রের সামগ্রিক করোনা পরিস্থিতি নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে ফেলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সর্বত্র পরিস্থিতি এখন ভাল। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্র ভবানীপুরও এখন কোভিড শূন্য। শান্তিপুর এবং গোসাবাতেও তাই। নির্বাচন কমিশনকে এই রিপোর্টই তুলে দেওয়া হবে।

নির্বাচন করা নিয়ে এখন নির্বাচন কমিশন করোনাভাইরাসকেই ঢাল করেছিল। বলা হয়েছিল, এই নিয়ে ন্যূনতম ঝুঁকি নিতে নারাজ তাঁরা। অথচ যখন শেষ কয়েক দফার নির্বাচন একসঙ্গে করার কথা বলাহয়েছিল তখন নিজেদের জেদ বজায় রেখে ৮ দফাতেই নির্বাচন করিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তাতে রাজ্যে ছেয়ে যায় করোনা সংক্রমণ। এবার কেন্দ্র–রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখছেন কমিশন কর্তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.