Train Hijack: বাঁচান! ট্রেন হাইজ্যাক হয়ে গিয়েছে, কর্নাটকে আতঙ্কিত যাত্রীর টুইট পেয়ে রেল জানাল…

কর্নাটক থেকে দিল্লি যাচ্ছিলেন কৃষ্ণচন্দ্র বেহেরা। দিল্লি যাওয়ার জন্য তিনি উঠেছিলেন কর্নাটক সম্পর্কক্রান্তি এক্সপ্রেসে। হঠাৎই তিনি লক্ষ করেন যে পথে ট্রেনটি যাওয়ার কথা, সেই পথ ছেড়ে অন্য পথ ধরে এগোচ্ছে।

ট্রেন অন্য পথ ধরতেই একটু বিচলিত হয়ে পড়েন কৃষ্ণ। ট্রেন তো ঠিক পথে যাচ্ছে না! তা হলে কি হাইজ্যাক করা হল গোটা ট্রেনটিকে! বহু বার শুনেছেন বিমান হাইজ্যাকের কথা। কিন্তু ট্রেন হাইজ্যাক হয়েছে এমন কাণ্ড বিশ্বের কোথাও ঘটেনি বলেই জানতেন তিনি। এই সাত-পাঁচ ভাবতে ভাবতে যখন কৃষ্ণ দেখলেন, ট্রেনটি একেবারে অন্য পথ নিয়ে ছুটে চলেছে, তাঁর ভাবনাতে প্রথম হাইজ্যাকের কথাটিই এসেছিল।

বিন্দুমাত্র দেরি না করে কৃষ্ণ মোবাইল ফোনটি তুলে টুইট করেন। তিনি লেখেন, ‘ট্রেন হাইজ্যাক হয়েছে!’ টুইটটি তিনি আইআরসিটিসি এবং সেকেন্দরাবাদের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার (ডিআরএম)-কে ট্যাগ করেন।


টুইটে কৃষ্ণ লেখেন, ‘ডিয়ার, আইআরসিটিসি, ডিআরএম সেকেন্দ্রাবাদ, ১২৬৫০ নম্বরের ট্রেনটিকে হাইজ্যাক করা হয়েছে। দয়া করে আমাদের বাঁচান।’ এক যাত্রীর কাছ থেকে এমন বার্তা পেয়েই তড়িঘড়ি সতর্ক হয় রেল। বিষয়টি ঠিক কী তা জানার জন্য আরপিএফকে সতর্কবার্তা পাঠায় রেল। বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর আরপিএফ রেলকে জানায়, এটি কোনও হাইজ্যাকের বিষয় নয়। তার পরই তাদের তরফে কৃষ্ণকে ট্যাগ করে আরপিএফ উত্তর দেয়, ‘আতঙ্কিত হবেন না। ট্রেন হাইজ্যাক হয়নি। পথ বদল করা হয়েছে।’ ওই ট্রেনের অন্য যাত্রীদেরও আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় আরপিএফের তরফে।

আরপিএফ আরও একটি টুইট করে জানায়, ‘স্যর, কাজিপেটা এবং বলরাশার মাঝে রেললাইনে কাজ হওয়ায় ট্রেনের পথ পরিবর্তন করে হায়দরাবাদ ডিভিশন দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’ প্রসঙ্গত, রেললাইনে কাজ হওয়ার জন্য মাজরি জংশন এবং সীতাফল মান্ডির মাঝে অন্য পথে ঘুরিয়ে দেওয়া হয় কর্নাটক সম্পর্কক্রান্তি এক্সপ্রেসকে। যদিও কৃষ্ণের টুইটটি মুছে দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.