আবার এক ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা। যা রাজ্য থেকে দেশের মানুষকে চমকে দিয়েছে। উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের কাছে রূপাহার এলাকায় এই বাস দুর্ঘটনা ঘটে। বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সরাসরি নয়ানজুলিতে উল্টে যায়। আর তার জেরে দমবন্ধ হয়ে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। জখম অসংখ্য। বুধবার গভীর রাতে এই মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা ঘটে। বাসটিতে ছিলেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ছয়। আশঙ্কাজনক ৩ জন। আহতদের রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বেশি রাতে একটি বিকট আওয়াজ শোনা যায়। বাইরে বেরিয়ে দেখা যায় একটি বাস নয়ানজুলিতে পড়ে গিয়েছে। তখন তড়িঘড়ি উদ্ধারকাজে নেমে পড়েন সবাই। বাসটি ঝাড়খণ্ডের পাকুর জেলা থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে রায়গঞ্জের দিকে যাচ্ছিল। এই বাসটি লখনউ যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, তার আগেই বাসটি দুর্ঘটনার কবলে। বাসযাত্রীদের অভিযোগ চালক মদ্যপ অবস্থায় থাকায় এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে রায়গঞ্জ থানার বিশাল পুলিশবাহিনী, দমকল বাহিনী এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় উদ্দারকার্য। গভীর রাত থেকে ভোর পর্যন্ত চলে উদ্ধার কাজ। পুলিশ ক্রেন দিয়ে কাদায় আটকে থাকা বাসকে টেনে তোলে। তখনই দেখা যায় অসংখ্য দেহ বাসের জানলা ও দরজায় আটকে রয়েছে। নয়ানজুলির কাদায় বাসটি আটকে যেতেই চাপা পড়ে যান শ্রমিকরা। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান এদের সকলেরই মৃত্যু কাদায় ডুবে হয়েছে।
এখনও পর্যন্ত বাসটি থেকে ৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। আরও ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। অভিযোগ, জাতীয় সড়কে প্রচুর গর্ত রয়েছে। যা মেরামত হয়নি দীর্ঘদিন। আর সেটাই দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। ঘটনার পর থেকে পলাতক চালক। তাঁর খোঁজ শুরু হয়েছে। মৃত এবং আহতদের পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা শুরু করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে বেশকিছু মহিলা ও শিশুরাও আছে বলে খবর।